কাজির বাজার ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু বিএনপি পরিবেশ বিঘিœত করছে। আর একটা বিশেষ দল অংশ নিলেই কি নির্বাচন বৈধ হয়ে যায়? তারা এলেই কি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়ে যাবে? তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই ভোট এড়াতে চাচ্ছে। আমরা যতটা জানি ২৫-৩০টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি দল হিসাবে অংশ না নিলেও দলটির অনেক নেতা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পরিষ্কার হবে বিএনপি থেকে কারা নির্বাচনে আসবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর তো রেওয়াজ আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী তো নির্বাচন করতে পারে। সেটা করবে।’
দলীয় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতাকর্মীদের বিষয়ে স্পেসিফিক কিছু বলা হয়নি। এখানে আমাদের আরও কিছু বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তার ব্যাপার আছে। যদি শরিকদের নিয়ে নির্বাচন করি অথবা অপজিশন কে হয়, তেমন একটা বিবেচনা মাথায় থাকে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা রোববার গণভবনে প্রার্থীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে কোনো কিছু অপরিষ্কার, অস্পষ্ট নেই। সবকিছু খোলামেলা বলে দিয়েছেন। সবকিছু স্পষ্ট করেছেন। তার যে গাইডলাইন সেই তা অনুসরণ করে প্রার্থী হতে বাধা আছে বলে আমার জানা নেই। স্বয়ং সভাপতি গাইডলাইন দিয়েছেন।’
মনোনয়নপ্রাপ্তদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ী হতে পারবেন, এমন ব্যক্তিদেরই প্রার্থী করা হয়েছে। দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করার বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয় কৌশলগত কারণেই দু’টি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। নির্বাচনি জোটের সুবিধা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানে অ্যাডজাস্টমেন্ট-অ্যাকোমডেশনের বিষয় আছে। সেগুলো চ‚ড়ান্ত করবে দল।’
এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের প্রার্থীর বাইরে প্রতিটি আসনে ড্যামি প্রার্থী রাখা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল দলের কৌশল ঠিক করে। দলের অবস্থান অনুযায়ী দলের ভবিষ্যৎকে মাথায় রেখে দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন এবং সিদ্ধান্ত দেন। নতুন সময়ে নতুন কৌশলও দলকে গ্রহণ করতে হবে। এ সময়ে যে কৌশল দরকার আমাদের নেত্রী সে কৌশলই ঠিক করেছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে এটা বন্ধ করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নয়, অপকর্মের জন্য বিএনপিই সঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছে।’ এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর দলের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।