বিধ্বস্ত বিমানে ৩২ বাংলাদেশী যাত্রীর মধ্যে ১০ জন বেঁচে আছেন

33

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩২ বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে ১০ জন বেঁচে আছেন জানিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেছে বিমান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। নেপালের তিনটি হাসপাতালে এদের চিকিৎসা চলছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
সোমবার নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ৬৭ জন যাত্রী এবং চার জন ক্রু নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নেপালের একটি হাসপাতাল আট জনের মৃত্যুর তথ্য জানায়। তবে নেপালের বিভিন্ন গণমাধ্যম সেদিনই মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫০ জন বলে জানায়।
পরদিন মঙ্গলবার নেপালি কর্তৃপক্ষ ৫০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিন্তু ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করছিল না।
এই ফ্লাইটটির দুই জন পাইলট এবং দুই জন কেবিন ত্রুর সবাই বাংলাদেশি এবং তারা সবাই নিহত হয়েছেন। আর যে ৩২ জন যাত্রী ছিলেন তাদের পরিণতি নিয়ে স্বজনরা উৎকষ্ঠিত সময় কাটাচ্ছেন দুর্ঘটনার খবর আসার পর থেকেই।
কিন্তু ইউএস বাংলা মঙ্গলবার বিকাল চারটার আগ পর্যন্ত কারা বেঁচে আছেন, তাদের তথ্য জানাতে পারছিল না। অবশেষে সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছেন।
রাজধানীর বারিধারায় ইউএস বাংলার করপোরেট কার্যালয়ের সাংবাদিকদেরকে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কালকে বাংলাদেশি এখানে কেবিন ক্রু এবং পাইলটসহ ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিল। ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন আসলে মারা গেছে। বাকি ১০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’
বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে ইয়াকুব আলী নরডিক হসপিটাল, রেজোয়ানুল হক হোম হসপিটালে ভর্তি আছেন। আর কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন বাকি আট জন। এরা হলেন, শাহীন আহমেদ, শাহীন বেপারী, মেদেহী হাসান, ইমরানা কবির হাসি, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, শেখ রাশেদ রুবেল, আলিমুন্নাহান অনি, এমডি কবির হোসেন।’
‘বাকি যে ২৬ জন আছেন আমাদের পাইলট, কো পাইলট এবং কেবির ত্রু, তাদের সবাই নিহত হয়েছেন।’
আহতদের শারীরিক অবস্থা কেমন-এমন প্রশ্নে ইউএস বাংলা কর্মকর্তা জানান, ‘একেকজন একেক সিচুয়েশনে আছেন, কেউ মারাত্মক আহত অবস্থায় আছেন, কেউ হয়ত লাইটলি আছেন।’
তথ্য দিতে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকালএয়ারক্রাফটের দুর্ঘটনায় হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে, আমরা জানতে পারছিলাম না কারা মারা গেছেন, কারা জীবিত আছেন। আমাদের একটা টিম কাঠমান্ডু না যাওয়া পর্যন্ত আমরা আপডেট নিউজগুলো পাচ্ছিলাম না। বাট এখন যেহেতু আমাদের টিম টা আছে, তারা কাজ করছে। অলরেডি বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে বসেছে। বিভিন্ন রেফারেন্সে অলরেডি তারা আমাদের কাছে একটা ইনফরমেশন পাঠিয়েছে।’
মঙ্গলবার সকালেই ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে করে আগের দিন ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের স্বজনদেরকে নেপাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার আহতদেরকে ইউএস বাংলার খরচে চিকিৎসা করার ঘোষণাও এসেছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
যারা মারা গেছেন, তাদের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি, সেখানে যে সিচুয়েশন আছে, সেগুলো দ্রুত অভারকাম করে ডেডবডিগুলেঅ বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য। আমরা অপেক্ষায় আছি, ঠিক কখন নাগাদ তাদের ডেডবডিগুলো বাংলাদেশে এনে সেগুলোকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে পারব।’