কাজিরবাজার ডেস্ক :
জোর করে এক নারীকে বিয়ে ও সেই সম্পর্ক গোপন রাখা নিয়ে আলোচিত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে পুলিশ সদরদপ্তর। পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
সরকারি চাকরিতে দায়িত্বরত অবস্থায় অসদাচরণ করার অভিযোগ উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি গত সোমবার আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন এই সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি এক তরুণীকে তুলে নিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এসময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগও উঠে।
বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে এনিয়ে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এ অবস্থায় পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মইনুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শাহাবুদ্দিন কোরেশী এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মিয়া মাসুদ হোসেন।
এর আগে অভিযোগ ওঠার পরপরই ডিআইজি মিজানকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানের কর্মকাণ্ডকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয় তার এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। একইসঙ্গে ঊর্ধ্বতন একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিষয়টি নৈতিক স্খলনও।
তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মইনুর রহমান চৌধুরীর সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।