জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ ও আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহ (রা.) এর ইছালে ছওয়াব মাহফিল সোমবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাতে সম্পন্ন হয়েছে।
মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা নজমুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ে ইসলামের দিকনির্দেশনা রয়েছে। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার কর্তব্যের ব্যাপারে ইসলামে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের যেমন কর্তব্য আছে; তেমনি সন্তানের প্রতিও পিতা-মাতার কর্তব্য রয়েছে। সন্তানকে ইসলামী সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব অভিভাবকদের। সন্তানদের নামাজসহ ইসলামী শিক্ষা দিতে হবে। সুন্দর-সুখী, কল্যাণময় জীবন গঠনে নামাজ ও ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। নামাজী সন্তান পিতা-মাতার জন্য সদকায়ে জারিয়া, যা মৃত্যুর পরে কল্যাণের কারণ হবে। সন্তান প্রতিপালনে অধিকাংশ বাবা-মায়ের ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সন্তানের খোঁজখবর যথাযথভাবে না নেয়ায় ধীরে ধীরে আদরের সন্তানটিই খারাপ সঙ্গী জুটিয়ে নেয় কিংবা খারাপ মানুষের সঙ্গে মিশে খারাপ পথে চলে যায়। পিতা-মাতা হলেন সন্তানের প্রথম অভিভাবক, প্রথম শিক্ষক। পরিবার তার প্রথম বিদ্যালয়। যদি এ বিদ্যালয় থেকে ভালো কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে, তাহলে সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বয়ান পেশ করেন ইছামতি কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হযরত আল্লামা হবিবুর রহমান। প্রধান মেহমানের বয়ান পেশ করেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। বার্ষিক এ ওয়াজ মাহফিলে প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মুসলিম জনতা উপস্থিত ছিলেন।