কাজিরবাজার ডেস্ক :
স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই মূলত এবার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সরকারী দল থেকে অযোগ্য ব্যক্তিদের প্রার্থী করায় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের দ্বন্দ্ব এ সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন। যে কারণে কোথাও কোথাও ভোটযুদ্ধ সংঘাত-সহিংসতায় রূপ নেয়।
ইউপি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বেশির ভাগ ইউপিতে সরকারী দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হলেও প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ওই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীকে ডিঙ্গিয়ে কম যোগ্য প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক পেয়ে যান। এর ফলে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। তাদের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা থাকায় বিজয়ীও হয়ে যান। আবার কোন কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর অধিকতর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মূল প্রার্থী বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে তাদের হারিয়ে দেন।
এদিকে সরকারী দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ইউপি নির্বাচন বর্জন করলেও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনেক জায়গায় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। বেশ ক’টি ইউপিতে তারা বিজয়ীও হয়েছেন। আর অধিকাংশ ইউপিতে নিজেদের অবস্থান দুর্বল হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। তাই কোন কোন ইউপিতে কৌশলে সরকারী দলের মূল প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সংঘাতে জড়ানোর বিষয়ে ইন্ধন দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের আগেই সহিংসতার বিষয়ে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্মকর্তারাও তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। সর্বশেষ নির্বাচনের আগের দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব নয়। প্রতিটি ইউপিতে সরকারী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় তিনি এমন আশঙ্কা করেছিলেন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। অবশ্য দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে ভোট শেষে সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। তবে বিভিন্ন কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এমন বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
নির্বাচনের আগের দিন সিইসি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ইতোপূর্বে যখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে, আমরা মোকাবেলার চেষ্টা করেছি। তবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী এবং যারা ভোটার তাদের মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। আমরা ঘটনা ঘটলে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিই। হঠাৎ করে কোন ঘটনা ঘটলে কেউ প্রস্তুত থাকে না। যখন একটা ঘটনা ঘটে তখন তাদের অজান্তে, অনুপস্থিতিতে ঘটে যায়। আমি প্রথমেই বলেছি এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হলো যারা ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, তাদের সহনশীলতা। দায়দায়িত্ব প্রশাসনকে দেয়া বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া বা নির্বাচন কমিশনকে দেয়া, এটা দিয়ে দিলে হবে না। এজন্য তারাই দায়ী। অনেকগুলো ঘটনা ঘটে তালুকদার বংশ, খান বংশ এরকম হয়। রাস্তার এপার-ওপার এরকম হয়। তারপর হয় দলীয় কোন্দলে। পূর্ব শত্রুতার জেরেও হয়। এর আগে আরেকদিন সিইসি ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সরাসরি দায়ী করেছিলেন।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন বিশ্লেষণ করে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সবাই নিজ নিজ এলাকায় নিজের পছন্দের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে চেয়েছেন। তাই প্রার্থীদের মধ্যে কে কাকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হবেন এ নিয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়। আর এ কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়েই পরস্পরবিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে বেঁধে যায় সহিংসতা। বেশ ক’টি ইউপিতে প্রথমে কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি ও অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত হওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহিংসতায় লিপ্তদের ওপর লাঠিপেটা এমনকি গুলিবর্ষণও করতে হয়। আর এ কারণেই এ নির্বাচনের পরিবেশ বেশি উত্তপ্ত হয়।
নরসিংদীর রায়পুরার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশবাড়ী ইউপিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৩ জন। এর মূল কারণ, সেখানে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পান যুবদলের নেতা আশরাফুল হক সরকার। আর তার বিরুদ্ধে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে রাতুল হাসান জাকির প্রার্থী হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েন। তাই দুই পক্ষ চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের বিষয়ে সিরিয়াস হওয়ায় এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়। সেখানে ৩ জন মারা যাওয়া ছাড়াও আরও ক’জন গুলিবিদ্ধ হন। নিহত সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর হক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাতুল হাসানের সমর্থক। আর নিহত দুলাল মিয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল হকের সমর্থক। দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বেশ ক’দিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নির্বাচনের আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সারারাত থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় মারা যান দুই পক্ষের ৩ জন।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন মারা যান। কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তেতৈয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। আর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ অন্তত ৬ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে লেলাং ইউনিয়নের লালপুল তোফায়েল আহমেদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় ১ জন নিহত হন। এই সবগুলো ঘটনাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য নিজ প্রার্থীর বিজয়কে কেন্দ্র করে।
উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ভোটের দিনই মারা গেছেন ৭ জন। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বেশি সহিংসতা হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পরবর্তী ধাপের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মনোনয়ন চেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে লেখা নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর চিঠি একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এ চিঠির কপি প্রধানমন্ত্রী বরাবরেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের পরিবর্তে স্বতন্ত্র মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে চিঠি দিয়েছেন। তার এ চিঠির বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের কাছে লেখা চিঠিতে একরামুল করিম চৌধুরী উল্লেখ করেন, বিএনপিসহ কতিপয় রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ ও আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয়ভাবে মনোনীত চেয়ারম্যান ও মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি এবং চক্রান্ত করে আমাদের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংঘাত সৃষ্টি করছে। দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত সংঘাত থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় উন্মুক্তভাবে (স্বতন্ত্র) নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ রাখার আবেদন করছি।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সহিংস ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, অনেকে আহত হয়েছেন। এ হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ধরে রাখতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে যেন পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। নির্বাচনে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপি তো এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারপরও এ নির্বাচনে এত সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা কেন ঘটল?
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় তীব্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের। তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা, গোলাগুলি ও খুন-খারাবির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষ আর রক্তক্ষয়ী নির্বাচন দেখতে চায় না। তাই সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সহিংসতা এড়াতে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেয়া এবং আচরণবিধি লংঘনে প্রার্থিতা বাতিলসহ কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করেছিলেন তারা। এর জবাবে সিইসি বলেছিলেন, নির্বাচনে পরিবেশ ভাল না থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। এ ছাড়া কোন প্রার্থী আচরণবিধি লংঘন করলে প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সমর্থকদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন তিনি।
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে যে ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। আর এ কারণেই বিপত্তি ঘটে। যদিও ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে ৬৭০ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামান নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ৩৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ৩৩১ জন। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য। তারপরও কিভাবে নির্বাচনের দিন এত সহিংসতা হলো তা নিয়ে এখন সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে দেশ-বিদেশে যে সুনাম হয়েছিল ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার কারণে সরকারের অর্জন ম্লান হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।