সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পতিত জমির দখল সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক কৃষক খুন ও ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের হাওরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক মজনু মিয়া (৬২) তেতৈয়া গ্রামের মৃত আলম উল্লাহর পুত্র ও ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের ভগ্নিপতি। কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান জানান,বেশ কিছুদিন ধরে তেতৈয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল আলীম,আবু তাহের ও কুলঞ্জ গ্রামের ঢনেল গংদের পার্শ^বর্তী ইসলামপুর গ্রামের আহসান উল্লাহর সঙ্গে গ্রামের পাশের হাওরের পতিত জমির দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল আলীম মেম্বারের পক্ষের লোকজন বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক কাজ করতে যায়। এসময় ইসলামপুর গ্রামের আহসান উল্লাহর লোকজন বাধা দিলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে তলপেটে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মজনু মিয়া ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় বুকে ছুলফির ঘায় গুরুতর আহত হন একই গ্রামের লোকমান মিয়ার পুত্র নাজমুল হক (২৫) সহ আরো ১০ জন। গুরুতর আহত মজনু মিয়াকে পাশ^বর্তী হবিগঞ্জ জেলার বাণিয়াচুং উপজেলার মার্কূলী বাজারস্থ স্থানীয় এক ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিসিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে দিরাই থানার ওসি মোস্তফা কামাল এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ওসি মোস্তফা কামাল খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছে, আমরা শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি খুনের সাথে জড়িতদের আটক করার চেষ্টা করছি।