বড়লেখায় মা ও দুই ছেলে-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ॥ আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এ নিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহ, আটক ৩

35

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানা পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ভোলাকান্দি গ্রামের একই পরিবারের ৩ সদস্য কাতার প্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (২৫), মেয়ে লাবনী বেগম (৫) ও ছেলে ফারুক আহমদ (৩) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা, এ নিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এদিকে রহস্য উদঘাটনে বুধবার ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৩ মহিলাকে আটক করেছে। এরা হচ্ছেন মাজেদার সৎ শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম (৫৩), চাচী শ্বাশুড়ী আলিফজান বিবি (৪৫) ও জা সামিয়া বেগম (২১)। বুধবার সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদেও নিকট পুলিশ লাশ হস্তান্তর করেছে।
পুলিশ ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, কাতার প্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী বসত বাড়ীর প্রায় ১শ’ গজ অদুরে মিস্ত্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করাচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি মিস্ত্রীদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। মঙ্গলবারও তিনি বসত ঘর ও নির্মাণাধীন স্থানে যাওয়া আসা করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দিবাংশু নামে মিস্ত্রী সিমেন্টে নিতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে। দীর্ঘক্ষণ সাড়া না পেয়ে দরজার ফাক দিয়ে মাজেদাসহ মেয়েকে ঝুলন্ত দেখে লোকজনকে জানায়। খবর পেয়ে ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক আহমদ ও আ’লীগ নেতা মোক্তার আলী পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ ও মেঝে থেকে শিশুপুত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক আহমদ জানান, তিনি বিকেল ৫টার দিকে খরব পেয়েই ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিশ্চিত নন। ধারণা করছেন বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই অমিতাভ দাস তালুকদার জানান, মা ও মেয়ের ঝুলন্ত ও শিশুপুত্রের লাশ মেঝ থেকে উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ তিনটি মর্গে প্রেরণ করেন। বুধবার সন্ধ্যায় নিহত মাজেদার মামা সেলু মিয়ার নিকট ৩ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।