স্টাফ রিপোর্টার :
গত পহেলা জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির ভিডিও ফুটেজ দেখে ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাথ শিমুর খুনীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতা দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির ও কাজী মেরাজের পরিবার। একই সাথে শিমু হত্যা মামলা থেকে জাকির-মেরাজসহ নিরপরাধ নেতাকর্মীদের অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রশাসন ও শিমুর পরিবারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই এ দাবি জানান তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকিরের ছোট ভাই দেওয়ান তারেক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান জাকিরের পরিবার ও কাজী মেরাজের মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে দেওয়ান তারেক চৌধুরী বলেন, গত ১ জানুয়ারি নগরীর কোর্টপয়েন্টে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি চলাকালে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে নৃশসংভাবে খুন হন ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাথ শিমু। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। কোন অবস্থাতেই কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু আমরা কামনা করিনা। কিন্তু এই শিমু হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমার বড় ভাই দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির এবং তাঁর বন্ধু কাজী মেরাজসহ নিরপরাধ নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ছাত্রনেতা খুন হলো। কেউ খুনীকে দেখতে পেলনা। আবার এই মামলার আসামি হলো নিহত ছাত্রদল নেতা শিমুর খুব শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয় ভাইয়েরা। যা খুবই দুঃখজনক। আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি এই হত্যাকান্ডে আমার ভাই দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির ও তাঁর বন্ধু কাজী মেরাজ কোন অবস্থাতেই জড়িত নয়। এব্যাপারে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা বন্দরবাজার এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মিছিলে উপস্থিত থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ একটি বড় সাক্ষী বা প্রমাণ হিসেবে নেয়া যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, শিমুর সাথে দেওয়ান জাকির কিংবা কাজী মেরাজের কোন পূর্ব শত্র“তার লেশ মাত্র ছিলনা। বরং শিমুর সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল খুব ঘনিষ্ঠ। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতা শিমুর প্রকৃত খুনীদের খুঁজে বের করার দাবি জানান এবং দেওয়ান জাকির এবং তার বন্ধু কাজী মেরাজসহ নিরপরাধ মানুষদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান।