বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
একদিনের জন্যও সাধারণ জনগণের কোন কাজে আসে নি সোলেমানপুর বাজার পাইকরতলা নদীর ঘাটলাটি। এলজিইিড হিলিপ প্রকল্প ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘাটলাটি নির্মাণ করলেও ঘাটলার পূর্ব পাশে ১শ মিটার সড়ক না থাকায় ঘাটলাটি ব্যবহার করতে পারছে না বাজারে পণ্য উঠা নামাকারী ব্যবসায়ী ও সর্বসাধারণ।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইড) ও স্থানীয় সোলেমান পুর বাজার ব্যবাসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সোলেমানপুর বাজার পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পাইকরতলা নদী। হাওর থেকে মাছ সংগ্রহ করে এ নদী পথে বছর জুড়ে ব্যবাবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ পরিবহন করেন। তাছাড়া হেমন্তকালে সোলেমানপুর বাজার পাইকরতলা নদী ঘাট থেকে প্রতিদিন টাঙ্গুয়া হাওরে অনেক পর্যটক যাতায়াত করে থাকেন। সেই সাথে বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলি শুল্ক বন্দর থেকে সারা বছর এই নদীপথে কয়লা চুনাপাথর পরিবহন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি হেমন্ত কালে অত্র উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন, পার্শ্ববর্তী মধ্যনগর থানা, ধর্মপাশা উপজেলা ও নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ জেলাগুলোতেও অনেক যাত্রী সাধারণ এ ঘাট ব্যবহার করে থাকেন। এ লক্ষ্যে নানা সুববিধার কথা চিন্তা করে ২০১৫ সালে সোলেমানপুর বাজারের পশ্চিম দিকে পাইকরতলা নদীর পারে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এলজিইিডি হিলিপ প্রকল্প একটি ঘাটলা নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র আহবান করে একজন ঠিকাদার নিয়োগ করেন। কাজ নির্মাণের দায়িত্ব পান এলজিইডি সুনামগঞ্জ এর ঠিকাদার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাবুল মিয়া। কাজ পাওয়ার পর তিনি শুধুমাত্র ঘাটলাটি নির্মাণ করেন। কিন্তু ঘাটলা থেকে পূর্বপাশে ১শ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই তিনি বিল ভাউচার উত্তোল করে নিয়ে যান। ফলে এখন পর্যন্ত ঘাটলটার পূর্ব পাশে সংযোগ সড়করে কাজটি হয়নি। কাজ না হওয়ায় ঘাটলাটি আজো ব্যবহার করতে পারছেন না সুবিধাভোগীরা।
সোলেমানপুর বাজার হোটেল ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, ঘাটলার সাথে ১শ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা কিন্তু কেন যে তা হল না তা ইঞ্জিনিয়ার সাবরাই ভাল বলতে পারবেন।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সোলেমানপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত তিন বছর পূর্বে ঘাটলাটি নির্মান করা হলেও সংযোগ সড়কের কারণে ঘাটলাটি বব্যহার করা যাচ্ছে না।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ঘাটলাটি সোলেমানপুর বাজার ব্যবাসায়ী কিংবা সর্ব সাধারণের জন্য এখন পর্যন্ত কোন কাজে আসেনি।
এ বিষয়ে উক্ত কাজের ঠিকাদার বাবুল মিয়ার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে কাজের তদাড়কির দায়িত্বে থাকা তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ আহমেদ জানান,ঠিকাদার যে পরিমান কাজ করেছেন সে পরিমান বিল তারা প্রদান করেছেন।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইড)আলমগীর হোসেন বলেন, সংযোগ সড়ক না থাকায় ঘাটলাটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সংযোগ সড়কটি স্থাপন করে ঘাটলাটি বব্যহার উপযোগী কারার।