বয়িানীবাজারে শ্রমকি লীগরে কমটিি ঘোষণাকে কন্দ্রে করে ব্যাপক সংর্ঘষে আহত ২০

12

01বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার উপজেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলনে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু’গ্র“প শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ প্রহরায় জেলা শ্রমিকলীগসভাপতিসহ শীর্ষ নেতারা বিয়ানীবাজার পরিষদ মিলনায়তন হল ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর শহরসহ আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এক পক্ষ অপর পক্ষকে লক্ষ করে ব্যাপক চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। এদিকে সংঘর্ষের পর বিয়ানীবাজার শ্রমিক লীগ পৌর শহরে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ানীবাজার উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা শ্রমিকলীগের পূর্ব নির্ধারিত সম্মেলন ছিল। দুপুরে কর্মী সমাবেশের পর যথারীতি কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে কাউন্সিলের জন্য ৩টি প্যানেল জমা হয় জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে। জেলা সভাপতি এজাজুল হক এজাজসহ জেলা নেতৃবৃন্দ প্যানেল ত্রয়কে সমঝোতার মাধ্যমে একটি কমিটি নিয়ে আসার জন্য আহবান জানান। প্যানেল ত্রয় কমিটি গঠনে ব্যর্থ হলে সন্ধ্যার পর জেলা নেতারা গোপন বৈঠক করে মানিক উদ্দিনকে সভাপতি ও শাহজানুল ইসলাম লায়েককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন। এ সময় কমিটিতে পৌর শহরের দুই জনের নাম ঘোষণার অভিযোগ এনে সমাবেশ স্থলে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। একই সময় পৌর কমিটিতে লুৎফুর রহমানকে সভাপতি ও আব্দুল কাদিরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জেলা নেতারা পৌর কমিটি ঘোষণার পরপরই পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠে। শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। এ সময় জেলা নেতারা উপজেলা অডিটোরিয়ামের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে আশ্রয় নেন। এ সময় শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়ের মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শ্রমিক নেতাদের পুলিশ প্রহরায় বিয়ানীবাজার থেকে সিলেট যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।