দোয়ারাবাজারে ভিটেমাটি হীন মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই ট্রাম্পরোড

16

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে সুরমা। কাঁদছে মানুষ, বিলীন হচ্ছে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর। ভিটেমাটি হীন হয়ে শতাধিক পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে এখন ট্রাম্প রোড। দোয়ারাবাজার-ব্রিটিশ ট্রাম্পরোড এখন ভিটেমাটিহীন পরিবারের শেষ আশ্রয় স্থল। সময়ের বিবর্তনে সুরমার ভাঙ্গন এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। চারিদিকে ভিটেমাটি হারিয়ে মানুষজনের হাহাকার চলছে। কিন্ত দেখার কেউ নেই। নদী ভাঙনের কবলে বিলীন হওয়ার পথে এখন উপজেলা সদর। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাড়ীঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ খোদ সরকারী স্থাপনা গুলো রয়েছে হুমকির মুখে। নদী ভাঙন যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে উপজেলা সদরের মুরাদপুর, মাছিমপুর, মংলারগাঁও, মাঝেরগাঁও বিভিন্ন গ্র গ্রামের ভিটেমাটি হীন হয়ে বর্তমানে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন দোয়ারাবাজার-ব্রিটিশ ট্রাম্প রোডে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে উপজেলা বাসী মানববন্ধন কর্মসূচিসহ বিক্ষোভ সভা-সমাবেশ করেও টনক নড়ছে না স্থানীয় প্রশাসন সহ সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘ দিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙ্গনে প্রতিরোধে প্রকল্প হাতে নিয়েছে এমন মুখ রোচক প্রতিশ্র“তির কথা শোনা গেলেও বাস্তবতায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। সরজিমন দেখা গেছে, শুষ্ক মওসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে সুরমা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ভাঙনের কবলে অসংখ্য বাড়ী-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন অনেক পরিবার। অসহায় মানুষজনের আর্তনাদ কেউ শুনছে না। এলাকাবাসী বলেছেন, আমাদের দেখার কেউ নেই। দেয়ালে পীঠ ঠেকে গেছে আমাদের। বসত ঘর, জমি-জমা সুরমায় বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার মতো জয়গা না পেয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে সরকারি রাস্তায়।
মাঝেরগাঁও গ্রামের আফতাব মিয়া, রহমত মিয়া, মজিদ মিয়া, আইবান বিবি, তাজুদ আলী সহ অসংখ্য লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে বলেন, বসত ভিটা হারিয়ে এখন ট্রাম্পরোডে আশ্রয় নিয়েছি। বর্তমানে প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন অস্থিত্বহীন হয়ে সড়কে কোনো রকম ঠাঁই নিয়েছে।