ধর্মঘটে সিলেটের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল

75

স্টাফ রিপোর্টার :
শিক্ষা জাতীয়করণ, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বার্ষিক ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতির ফলে অচল হয়ে পড়েছে সিলেটের অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল-কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গত ২২ জানুয়ারী ধর্মঘট শুরুর পর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে অলস সময় কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ফলে গতকাল শনিবারও স্কুল-কলেজে গিয়ে শ্রেণী পাঠ না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জণ দাশ বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি অগ্রাহ্য করায় বাধ্য হয়ে অবিরাম ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। তিনি আরো জানান, আজ রবিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবে।
নগরীর দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী তাহমিনা বলেন, গত সপ্তাহ থেকে কলেজ খুলা থাকলেও শিক্ষকরা অবিরাম ধর্মঘটে থাকায় পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। তারা এখনই থেকেই ক্লাশে ফিরতে চান। সরকার তাদের ক্লাসে ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলে তাদের আশা।
শিক্ষার্থীদের ক্লাস না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে অভিভাবকদের মাঝেও। সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন অভিভাবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষকরাও ক্লাসে ফিরতে চায় উল্লেখ করে আহ্বায়ক শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির পক্ষে বাকবিশিস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে তারা পর্যায়ক্রমে মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরেও স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।