কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বড় সঙ্কটের মুখে পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। চলমান যুদ্ধের ভয়াবহ প্রভাবে বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য, জ্বালানি ও ভোজ্যতেলের। যুদ্ধে অংশ নেয়া দুই দেশের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে পণ্যের সরবরাহ সঙ্কট আরও বাড়াচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল পণ্য রফতানি কমিয়ে আনছে দেশটি। এমন সঙ্কটে বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্যে রেকর্ড ও জটিল বাজার পরিস্থিতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও। ইতোমধ্যে দেশের বাজারে লম্বা লাফ দিয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয়ও। চাপ বাড়ছে বৈদেশিক রিজার্ভে। এই সঙ্কট সামাল দিতে সামনের দিনগুলোতে দেশে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এছাড়া নিত্যপণ্যের সঙ্কট উত্তরণে ব্যবসায়িক উদ্যোগের সঙ্গে কূটনৈতিক উদ্যোগ চান ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কৃত্রিম সঙ্কট ও কারসাজি ঠেকাতে বাজারে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে সামাল দিতে ইউক্রেন সূর্যমুখী তেল, গম, ওটস এবং গবাদি পশু রফতানি সীমিত করেছে। রাশিয়া অন্য দেশের কাছে সার, চিনি ও শস্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম গম, অপরিশোধিত লোহা, নিকেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারক দেশ। দেশটি বিশ্বে কয়লা, অপরিশোধিত তেল এবং সারের প্রধান সরবরাহকারীদের অন্যতম। অন্যদিকে ইউক্রেন সূর্যমুখী তেলের সর্ববৃহৎ রফতানিকারক এবং গম, অপরিশোধিত লোহা, ভুট্টা এবং বার্লির বড় রফতানিকারক দেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, কৃষ্ণসাগর অঞ্চল যুদ্ধের আওতায় থাকায় ভেজিটেবল অয়েল ও খাদ্যশস্যের বিশ্ববাজারে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জাতিসংঘের খাদ্য মূল্যসূচক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কেনাবেচা করা ভোগ্যপণ্যের দরের ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করে। এসব পণ্যের মধ্যে আছে শস্য, ভেজিটেবল অয়েল, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনি। গত এপ্রিলের খাদ্যমূল্যের যে সূচক এফএও প্রকাশ করেছে, তাতে গড় পয়েন্ট হয়েছে ১৫৮ দশমিক ৫। মার্চ মাসের গড় পয়েন্ট ছিল রেকর্ড ১৫৯ দশমিক ৭। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে বেড়ে চলা খাদ্য সঙ্কট বিশ্বকে একটি ‘মানবিক বিপর্যয়ে’র মুখে ফেলে দিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, যদি এই যুদ্ধ চলতে থাকে তবে খাদ্যপণ্যের রেকর্ড দাম বৃদ্ধি লাখ লাখ মানুষকে অপুষ্টি ও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা একটি মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পণ্যের দাম বৃদ্ধির পরিসর বিস্তৃত এবং গভীর। ভোজ্যতেল, দানাদার শস্য, অন্যান্য খাদ্যশস্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। ভুট্টার মতো খাদ্যপণ্যের দামেও প্রভাব পড়ছে, কারণ গমের দাম বাড়লে এসব পণ্যের দামও বেড়ে যায়। তিনি বলেন, পৃথিবীর সবাইকে প্রতিদিন খাওয়ানোর মতো পর্যাপ্ত খাবার এখন আমাদের রয়েছে, বৈশ্বিক খাদ্য মজুদও এখন ঐতিহাসিক মানের বিচারে বড়। কিন্তু এই খাদ্যপণ্য বাটোয়ারা বা বিক্রির একটি প্রক্রিয়া থাকতে হবে, যাতে যেখানে খাদ্যের দরকার, সেখানে তা পৌঁছানো সম্ভব হয়। তাই খাদ্য উৎপাদনে ভর্তুকি দেয়া বা দাম বেঁধে দেয়ার পদক্ষেপকে নিরুৎসাহিত করছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট। বরং তার পরামর্শ বিশ্বজুড়ে সার ও খাদ্যসামগ্রীর সরবরাহ বাড়াতে মনোযোগ দিতে হবে। এখন খাদ্য ও জ্বালানি পণ্যের দামের উর্ধগতির মধ্যে বিদেশী মুদ্রার সঙ্কটে পড়ে কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়ছে অনেক দেশ। এ রকম সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ার দশা হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে পণ্যের সরবরাহ সঙ্কট আরও বাড়াচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল পণ্য রফতানি কমিয়ে আনছে দেশটির সরকার। এক পর্যায়ে এসব পণ্য রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। গত মাসে এক বিবৃতির মাধ্যমে পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় ইন্দোনেশিয়া। এর প্রভাবে ক’দিন আগে বাংলাদেশের বাজারে লম্বা লাফ দিয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ফলে প্রতি লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল যা ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১৮০ টাকা করা হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়েছে। ৫ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। এর সঙ্গে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে সরকার উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে, আমদানিতে করও কমিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ গোলাম মাওলা বলেন, বাংলাদেশে কয়েকদিন আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী ভারতে আরও দুই মাস আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২০০ রুপীতে বিক্রি শুরু হয়েছে (বাংলাদেশী ২২৫ টাকা)। বরং বাংলাদেশে দেরিতে দাম বেড়েছে। চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামীতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা হতে পারে। এই ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে পণ্য পরিবহন খরচও অনেক বেড়েছে। আগে যে পরিমাণ পণ্য আনতে ১ হাজার টাকা জাহাজ ভাড়া গুনতে হতো, এখন সেই পণ্য আমদানিতে ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট-কর প্রত্যাহার করলেও, দাম কমবে না। বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে, দেশেও বাড়বে। এটা মেনে নিতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের তথ্য বলছে, শিল্প সুবিধায় ২০২১ সালে বিশ্ববাজার থেকে ১৮ লাখ ১৮ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া এই তেলের মূল্য ১৭ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে পাম ও সয়াবিন তেল পরিশোধিত ও অপরিশোধিত আকারে আমদানি হয়। অপরিশোধিত অবস্থায় আমদানি করা সয়াবিন তেল স্থানীয়ভাবে পরিশোধনের পর বাজারজাত করা হয়। তবে দেশের বাজারে ব্যবহার ও আমদানি বেশি হয় প্রধানত পরিশোধিত পাম অয়েল। তথ্য বলছে, ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি শুল্কায়ন হয়েছে ১২ লাখ ১৬ হাজার টন পরিশোধিত (রিফাইন্ড) পাম অয়েল। এর পরই রয়েছে অপরিশোধিত (ক্রুড) সয়াবিন ৬ লাখ ৩ হাজার টন। আমদানি হওয়া পাম অয়েলের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এ দুই দেশের ওপর নির্ভরতা রয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের। তবে সয়াবিন আসছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল ও গমসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ যেমন রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে গম ও তেল আমদানি করে, তেমনি উন্নয়নশীল অনেক দেশও, তাদের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য কার্যত বন্ধ রয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। এই সঙ্কটের সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসমূহ নতুন নতুন দেশ থেকে আমদানি করতে হবে। যেসব দেশ আমাদের দীর্ঘমেয়াদে গম, ভোজ্যতেল ও জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে সক্ষম হবে, তাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন উৎস হতে পারে। এ জন্য ব্যবসায়িক উদ্যোগের সঙ্গে ভাল কূটনৈতিক উদ্যোগ জরুরী। পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ধরে রাখতে করহার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।
এদিকে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে দেশে দেশে বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতিও। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার রেকর্ড গড়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে সাত শতাংশে ঠেকেছে। আর ব্রিটেনে জ্বালানি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভও করেছে মানুষ। ইউরোজোনে যে উনিশটি দেশে ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা হয় সেসব দেশে এই জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল পাঁচ শতাংশের বেশি, যা ২৩ বছর আগে ইউরো চালুর পর সর্বোচ্চ। কেবল ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, এশিয়ার দেশগুলোও জর্জরিত একই সমস্যায়। জাপানে যেখানে আশির দশকের মন্দার পর ধারাবাহিকভাবে জিনিসপত্রের দাম কমে আসছিল বলে মূল্যস্ফীতি ছিল ঋণাত্মক, সেই দেশটিতেও গত ডিসেম্বরে প্রায় ১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। আবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়তে বাড়তে ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ শতাংশ পার হয়েছিল। আর পাকিস্তানে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৩ শতাংশ এবং সেখানে খাদ্যপণ্যের দাম ১৭ শতাংশ বেড়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যুদ্ধের প্রভাব সাপ্লাই চেনে পড়ার কারণে তেল, গ্যাস থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। সহসাই এই সঙ্কটের সমাধান হবে না। কারণ হিসেবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সহসাই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। রাশিয়া যদি এই যুদ্ধের পরিধি আরও বাড়ায়, তাহলে সঙ্কট আরও বেশি প্রকট আকার ধারণ করবে। তবে রাশিয়া নতুন করে যুদ্ধের পরিধি বাড়াবে বলে আপাতত মনে হচ্ছে না। আর শীঘ্রই যুদ্ধও শেষ হচ্ছে না। তাই এই অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে দেশে গড় মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৪, যা আগের মাসে ৬ দশমিক ২২ শতাংশ ছিল। গত বছরের মার্চে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত মার্চে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ বছর মার্চে গ্রামীণ এলাকায় ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। গত বছরের একই মাসে গ্রামের সাধারণ মুল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গ্রামে এ বছর মার্চে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, যা এক বছর আগে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল। খাদ্য বহির্ভূত উপখাতের গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগের বছরের মার্চে ছিল ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি গত বছরের মার্চের ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে এ বছরের মার্চে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়েছে। শহরাঞ্চলের খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে, যা আগের বছরের মার্চে ছিল ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা আগের বছর একই সময়ে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল।
বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বৈশ্বিক বাজারের চেয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা বেশি। তিনি বলেন, এখানে মজুদ করে, সরবরাহে বিঘ্ন ঘটিয়ে এবং আরও নানা কায়দায় পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। সেটা বন্ধ করা হবে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির ধকল কমাতে বাজার ব্যবস্থায় মনিটরিং আরও জোরদার করা দরকার যাতে মানুষ বাজারে যে দামে আসে সেই দামের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা দিতে না হয়। পণ্য যে মূল্যে আনা হয় আর বাজারে যে মূল্য থাকা উচিত সেটিই যেন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।