আজমিরীগঞ্জে ইউএনও সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার ১ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা

25

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কান্তি চক্রবর্তীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়দীপ রায় জনি। মামলায় আসামীরা হলেন, ইউএনও পুলক কান্তি চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ও এলজিইডি’র কার্য-সহকারী মো. সাকারিয়া। পরে বিচারক রাজিব আহমেদ তালুকদার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ প্রদান করেন। জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি উন্নয়ন মেলায় উপজেলা কার্যালয় চত্ত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানামন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট এম এ মজিদ খানের ছবি সম্বলিত একটি ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন ইউএনও পুলক কান্তি চক্রবর্তী। ফলে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনসহ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেইসাথে মামলার বাদি চরমভাবে মানসিক আঘাপ্রাপ্ত হয়েছেন। একইসাথে বাদি মনে করেন এটি রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। উক্ত ঘটনার ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ১ হাজার কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।বাদিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জিল¬ুর রহমান চৌধুরী জানান, ইউএনও পুলক কান্তি চক্রবর্তীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটিকে বিভাগীয় তদন্তের আদেশ প্রদান করেছেন। প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি আজমিরীগঞ্জের ইউএনও লাঞ্ছিতের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কসহ যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে উকেদ মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় আহ্বায়ক বাবলু রায় ও যুগ্ম মমিনুল ইসলা সজীব হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে রয়েছেন।