মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মাঠে বিশাল প্যান্ডেল। ছামিয়ানা টানানোর কাজ শেষ। ইজতেমা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। মাঠ সংস্কার, মঞ্চ, বিদেশী মেহমান থাকার স্থান, অযুর পানি, খাওয়া ও গোসলের পানি, স্যানিটেশন তৈরীর সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রথমবারের মতো মৌলভীবাজার শহরতলীর জগন্নাথপুর উপশহর মাঠে তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হবে ২৫ জানুয়ারী।
ইজতেমাকে সামনে রেখে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মাঠের কাজ। প্রবেশদ্বারে নির্মিত হয়েছে বিশাল অভ্যর্থনা গেইট। এক কিলোমিটার এলাকার সড়ক জুড়ে তৈরী হয়েছে বেশ কয়েকটি তোরণ। ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে মাসব্যাপী রাত-দিন পরিশ্রম করেছেন স্থানীয় তাবলীগ জামাতের মুরব্বী ও কর্মীরা। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন স্থানীয় বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এই প্রথম মৌলভীবাজার জেলায় হচ্ছে জেলা ভিত্তিক ইজতেমা তাই আনন্দ উচ্ছ্বাসের কমতি নেই তাদের।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের মত স্থানীয় বাসিন্দারাও আনন্দিত। কারণ তিনদিন ব্যাপী দেশ-বিদেশী আলেমরা বয়ান পেশ করবেন। প্রায় দশ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে হবে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। তাই ইবাদত,বন্দেগী আর সম্মিলিত দোয়ার জন্য এই তিন দিনের অপেক্ষায় তারা প্রহর গুনছেন। তারাও সহযোগিতা করছেন মাঠ প্রস্তুতে।
মৌলভীবাজার জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিদিনই ইজতেমার জন্য প্রস্তুত হওয়া মাঠে আসছেন। নানা ভাবে সহযোগিতাও করছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন করছে সার্বিক সহযোগিতা। আগত মুসল্লিদের নিরপত্তায় নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
মৌলভীবাজার জেলা তাবলীগ জামাতের শুরা সদস্য ও ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার (আমির) মাওলানা মো. ময়নুল ইসলাম ও মুফতি মো. সিরাজ উদ্দিন জানান, ‘কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি ও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুরব্বিরা তিনদিন ব্যাপী এই জেলা ইজতেমায় বয়ান করবেন। ২৭ জানুয়ারী সকাল ১১টার দিকে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে তিনদিন ব্যাপী চলা জেলার এ ইজতেমা। তবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার সাথে মিল রেখে এখানেও বাংলায় আখেরী মোনাজাত হবে বলে জানান মাঠের এই দায়িত্বশীল। মূল প্যান্ডেলের ভেতর কয়েক লাখ মানুষের সু-ব্যবস্থা আছে।
এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে মাঠের উত্তর দিকে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত রয়েছে।’