স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার মেহেরপুর আবাসিক হোটেল থেকে মহিলা ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ হোটেলের ২য় তলার ২০৬ নং কক্ষের দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় পুরুষের আর বিছানার ওপর থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলের ম্যানেজার আব্দুল ওয়াদুদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছেন তারা হলেন- জৈন্তাপুরের স্কুল শিক্ষিকা রুমি পাল (২৫) ও জগন্নাপুরের মিন্টু দেব (২৮)।
জানা যায়- দীর্ঘদিন থেকে স্কুল শিক্ষিকা রুমি পালের সাথে জগন্নাথপুরের মিন্টু দেবের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানা থাকলেও বিয়েতে কেউ রাজি হচ্ছেন না। যার কারণে প্রায় সময়ই তারা সিলেটের বিভিন্নস্থানে কাজের কথা বলে ঘুরে বেড়াতেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রুমি পাল ও মিন্টু দাস হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে। ওই সময়ে হোটেলের দায়িত্বে ছিলেন ম্যানেজার আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি তাদের কাছ থেকে কোন ধরণের পরিচয়পত্র না রেখে হোটেলের কক্ষটি ভাড়া দেন।
মহানগর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করে বলেন- পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে মিন্টু দেব রুমি পালকে হত্যা করার পর মিন্টু গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেছে। রুমি পালের শরীরের আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ রুমি পালের লাশ বিছানার ওপর থেকে উদ্ধার করে।
কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন বলেন- প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে রুমি পালকে হত্যা করার পর মিন্টু নামের ওই লোক গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। আর তাদের দুজনের লাশ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।