আমরা হাওর পারের মানুষ, আমাদের জীবন ও জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হলো বোরো ফসল। গতবারে সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে, আমাদের একমাত্র ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিছু দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসৎ প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও দায়িত্বহীন রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির কারনেই হাওর অঞ্চলের এই বিপর্যয় ঘটেছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই এসব অপকর্মের সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারও করা হয়েছে, অনেকের চাকুরীও চলে গেছে। তাদের শাস্তি হওয়ায় হাওর পারের মানুষ খুশী।
গত ১৯ জানুয়ারী শুক্রবার বিকাল ৩টায় দিরাই উপজেলার আকিলশাহ বাজারে কুলঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ মিয়া সভাপতিত্বে এবং সংবাদকর্মী মাহমুদুল হাসান জিতুর পরিচালনায় হাওর পারের সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অত্র এলাকার সন্তান গণতন্ত্রী পার্টির সিলেট জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসনে গণতন্ত্রী পার্টির মনোনীত প্রার্থী গুলজার আহমদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন আমাদের প্রত্যাশা ছিল, আসছে মৌসমে ফসল সুরক্ষায় সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি বাঁধ নির্মাণে নির্ধারিত সময় অতিক্রম করার পরও সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সংশ্লিষ্টবর্গ এ ব্যাপার উদাসীন। অনেক হাওরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে কৃষকেরা ফসলের চারা রোপন করতে পারছে না। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য এখনই কার্যকর উদ্যাগে গ্রহন করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে, পি আই সি গঠন করতে হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী, কুলঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি তজমুল হোসেন, কৃষক নেতা আলাউর রহমান আলা, আকিল বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান মহিম, সাজ্জাদূর রহমান, হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হারুন মিয়া, রাধানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ ফুল মিয়া, মৌলানা কাজী আব্দুল আওয়াল, কৃষক নজরুল ইসলাম, বকুল মিয়া, আলমগীর, আনোয়ার হুসেন, এহার মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি