কমলগঞ্জে চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগের প্রতিবাদে পাত্রখোলা চা বাগানে কর্মবিরতি পালিত

53

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর (এনটিসি) মালিকাধীন পাত্রখোলা চা বাগানে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে চা বাগান শ্রমিকরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে। শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ চা বাগানের ড্রেসারকে অপসারণ ও কম্পাউন্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করে।
পাত্রখোলা চা বাগানের শ্রমিক অভিনয় ভৌমিক, অনিতা পাইনকা, পিন্টু পাইনকা, মজিদ মিয়া, ছোটবাবু ভৌামকসহ সাধারণ চা শ্রমিকরা জানান, পাত্রখোলা চা বাগানের অফিস পিয়ন মিন্টু পাইনকা (৪৫) শারীরিকভাবে অসুস্থতাজনিত কারণে চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানের হাসপাতালের কম্পাউন্ডার খোকন কুর্মী এর মাধ্যমে গত ১ জানুয়ারি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিন দিন রাখার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য রেফার্ড করেন। তবে মিন্টু পানিকার চিকিৎসার দায়িত্বাধীন কম্পাউন্ডার খোকন কুর্মী ও ড্রেসার রনজিত পাল গাফিলতি করে তাৎক্ষণিক সিলেটে প্রেরণ না করে চা বাগানে ফেরত নিয়ে আসেন। চা বাগানে আনার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ৮দিন পর গত ১২ জানুয়ারী শুক্রবার বিকালে সিলেট এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে ঐ রাতেই সে মারা যায়।
পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন কর্মবিরতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চা বাগানের কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারের চিকিৎসা অবহেলার গাফিলতির কারণেই রোগী মারা গেছে। এ কারণেই মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে চা বাগানের সাধারণ শ্রমিকরা বাগানের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে কর্মবিরতি পালন করে। তবে বাগানের ম্যানেজমেন্ট ড্রেসার রনজিত পালকে অপসারন ও কম্পাউন্ডার খোকন কুর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে দুপুর ১২টার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. শামসুল ইসলাম সেলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মিন্টু পাইনকার চিকিৎসায় কোন ত্র“টি করা হয়নি। বাগানের কম্পাউন্ডারকে দায়িত্ব দিয়ে যথাসময়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে গাফিলতির কারনে বাগানের ড্রেসার ও কম্পাউন্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।