জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু সহ ৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। এলাকাবাসী দাবী দুর্ঘটনার মূল কারণ সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর রাস্তার জায়গা দখল করে খাম্বা ড্রাম্পিং করা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় গতকাল ১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বিরতীহিন বাস নং সিলেট-জ-১১-০৪৬৮ সাথে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর খাম্বা বোঝাই ট্রাক নং-চট্ট-মেট্টো-ট-১১-৫৯৯০ এর সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা স্থলেই শিশু সহ ৩জন নিহত হন, নিহতরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউরা গ্রামের তপন তালুকদারের শুক্লা রানী (২০), তার শিশু কন্যা ইতপা রানী (৩), তার শাশুড়ী অমকা রানী (৫৫)। আহত ২০। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া আহতরা হলেন হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মিলন চার্য (৩২) তার স্ত্রী শিপ্রা চার্য (২৩) জৈন্তাপুর উপজেলা দরবস্ত ইউনিয়নের ভাইটগ্রামের মৃত সাইফ উল্লার ছেলে হাবিবুর রহমান (৫০) অন্যান আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোঃ মাইনুল জাকির, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর হতে সিলেট-তামাবিল মহা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। স্থানীয় জনতা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ দরবস্ত অফিসের সম্মুখে বিক্ষোভ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনুল জাকির বলেন- ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্যদের নিয়ে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা চালাছি।