জগন্নাথপুর থেকে সংবাদাতা :
জগন্নাথপুরে একটি সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তিন উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় জনতার ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। যে কারণে অত্র অঞ্চলের জন সাধারণকে আবারো ফিরে যেতে হয়েছে পুরনো অতীতে। হেমন্তে পাও এবং বর্ষায় নাও যোগে চলাচল করতে হচ্ছে। একের পর এক দুর্ভোগ যেন অত্র অঞ্চলের মানুষের পিছু ছাড়তে চাইছে না। এমনিতেই তিন উপজেলার সীমানা হওয়ায় সর্বক্ষেত্রে অত্র অঞ্চল অবহেলিত রয়েছে। তার উপর নতুন করে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, গত প্রায় ৫ মাস আগে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের জালালপুর ও কাতিয়া গ্রাম এলাকার ভাঙ্গাবাড়ি নামক স্থানে কুশিয়ারা নদীর উত্তাল ঢেউয়ে প্রায় এক হাজার থেকে ১৫শ ফুট এরিয়া নিয়ে অত্র অঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিশাল এরিয়া নিয়ে সড়কটি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে অত্র অঞ্চলের জনগণের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় জনতা নৌকা যোগে চলাচল করলেও বর্তমানে তারা শুকিয়ে যাওয়া নদীর পারের জমি উপর দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার সড়কের পাশে থাকা জমির উপর দিয়ে মানুষ পায়ে হেটে চলাচল করছেন এবং ভাঙনের দুই দিক থেকে গাড়ি চলাচল করছে। শুধু ভাঙন এলাকা পায়ে হেটে যেতে হচ্ছে। ভাঙনের এপার থেকে জগন্নাথপুর এবং ওপার থেকে বেগমপুর পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করছে।
এ সময় স্থানীয় দিঘলবাক গ্রামের শিক্ষানুরাগী শালিসি ব্যক্তি মুজিবুর রহমান, বড়ছেছি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য শাহ খায়রুল ইসলাম সহ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হওয়া স্থানীয়রা জানান, নদীতে সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় তিন উপজেলা বাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার কালনীচর, কালাইনজুরা, নোয়াগাঁও, আটঘর, দিঘলবাক, খারগাঁও, তাজপুর, শুক্লাম্বরপুর, মিলিক, কালাম্বরপুর, বড়ফেছি, রাধানগর, বড় কাতিয়া, ছোট কাতিয়া, নতুন কসবা, অলইতলি, জালালপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, বৃহত্তর দিঘলবাক, রাধারপুর, মথুরাপুর, ফাদুল্লা এবং ওসমানীনগর থানার সুরিকোনা, দক্ষিণ কালনীচর, আবদুল্লাহপুর, তাহেরপুর, রহমতপুর, ইসলামপুর, চাতলপাড়, নুরপুর, গাবুরটিকি, অলিমপুর, বেগমপুর সহ এ তিন উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই মানুষের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত বিকল্প সড়ক নির্মাণ করতে তারা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, এ সড়কটি পাইবো কর্তৃপক্ষ করার কথা রয়েছে। বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় পাউবো’র জগন্নাথপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, এ সড়ক নির্মাণের জন্য সম্ভবতো বরাদ্দ এসেছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। এতে স্থানীয় জনগণের দুঃচিন্তার কোন কারণ নেই।