কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বড়চতুল ইউপির বড়চতুল গ্রামের সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলামের একমাত্র দেড় মাসের শিশু ছেলে নাদিম আহমদকে কীটনাশক জাতীয় বিষ খাইয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। হত্যার সাথে জড়িত তার চাচী সুমানা বেগমকে হত্যা কান্ডের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও অদ্যবধি পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কানাইঘাট থানায় দায়েরকৃত শিশু নাদিম হত্যার অভিযোগের বাদী তার মা সুমি বেগম ও আত্মীয় স্বজনরা কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, থানায় অভিযোগ দাখিলের ১০দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযোগটি আজ অবদি রেকর্ড করা হয়নি। নাদিমকে বিষ খাইয়ে হত্যার একমাত্র আসামী সুমানা বেগমকে গ্রেফতার করতেও পারেনি পুলিশ। থানায় বার বার ধর্না দেওয়ার পরও মামলাটি রেকর্ড করছেনা পুলিশ এমন অভিযোগ করেছেন নাদিমের মা সুমি বেগম ও তার স্বজনরা। থানায় গেলে তাদেরকে বলা হচ্ছে আজ নয় কাল মামলা রেকর্ড হবে। আবার কখনও বলা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে ফেলেন ভাল হবে, কখনওবা বলা হচ্ছে শিশু নাদিমের পোর্টমেডাম রিপোর্ট পাওয়ার পর আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, পুলিশের এমন বক্তব্যে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একমাত্র বুকের ধন দেড় মাসের শিশু ছেলে নাদিমকে হারিয়ে মা সুমি বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। বুক ফাটা আর্তনাদ ও বিলাপ কন্ঠে তিনি বলেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার নিষ্পাপ দেড় মাসের শিশু সন্তান নাদিম আহমদকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করেছে জ্যা সুমানা বেগম। শিশু ছেলের হত্যাকারী বিচার চাইতে গিয়ে থানা পুলিশ তার মামলা রেকর্ড করছেন না। ওসি সাহেব থেকে শুরু করে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই হুমায়ুন কবির একেক সময় একেক কথা বলছেন আমাকে ও আমার আত্মীয় স্বজনদের। এখন আমি কার কাছে হত্যার বিচার চাইব। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিশু নাদিমকে বিষ খাইয়ে তার চাচী সুমানা বেগম হত্যা করেছে এমন অভিযোগ থানায় শিশুটির মা সুমি বেগম দিয়েছেন। কিন্তু দরখাস্ত দেয়ার পর যেভাবে যোগাযোগ করার কথা সেভাবে তারা করছেন না। ঘটনাটি তাদের নিজেদের মধ্যে। তারপরও আমরা আসামী সুমানা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছি। অভিযোগটি রেকর্ড করা হয়নি স্বীকার করে তিনি বলেন, নাদিমের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।