কমলগঞ্জে এবার বোরো চাষে কৃষকরা ব্যস্ত

26

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
দফায় দফায় বন্যায় কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে যেখানে বোরো চাষ কখন হয়নি সেখানে কৃষকরা নতুন করে চাষ করতে ব্যস্ত হয়েছেন।
সেচ সুবিধা নিয়ে উঁচু, অনাবাদী ও আমন জমিতেও এ বছর বোরো রোপণে কৃষকরা ব্যস্ত। বিগত বছর দফায় দফায় নদী ভাঙন, বন্যা, জলাবদ্ধতায় দুর্দশাগ্রস্ত ছিলো কৃষক সাধারণ। উপজেলার কয়েকটি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর চলতি মৌসুমে ৩৮৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া চলতি বোরো চাষাবাদের জন্য সরকারিভাবে ১৯৬০ জন কৃষকের মধ্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা বিদায়ী বছরের ক্ষতিগ্রস্ত তিন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালেই মাঠ জুড়ে কৃষক ও কৃষাণীরা জমি রোপণ করছেন। অনাবাদী ও আমন চাষাবাদকৃত জমিতে সেচ সুবিধা নিয়ে জমি তৈরি ও বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে এ বছর কৃষকরা বোরো আবাদ করছেন। কমলগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ৩৮৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এর পরিমাণ দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোরো ফসল, আউশ ও আমন ফসলহানির কারণে বছরজুড়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন কৃষকরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শামসুদ্দীন আহমদ এলাকায় ব্যাপক বোরো আবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলে বিগত বছর কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাছাড়া সার, বীজ, নগদ অর্থ প্রদান ছাড়াও কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সার্বক্ষণিক নজরদারিতে কৃষকরা বোরো আবাদে উৎসাহ বোধ করছেন। তিনি বলেন, যেহারে অনাবাদী জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।