হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমার নির্দেশে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমির অভিযানে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের
কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে ২টি নৌকাসহ ৭জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ভুক্তভোগী মানুষের মনে আইনের প্রতিশ্রদ্ধা ও আস্থা ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দীর্ঘদিন ধরে সরকারে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী শেরপুরে কুশিয়ারা নদী উপর ৪-৫টা ড্রেজার মেশিন এর সাহায্যে কুশিয়ারা থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। এর ফলে নদীর ভাঙ্গনসহ ফসলী জমিসহ তীরবর্তী মানুষের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছিল।
রবিবার সকাল ১১টায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আতাউল গণী উসমানী, নবীগঞ্জ থানার এস আই পলাশসহ একদল পুলিশ সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে কুশিয়ারা নদীতে বালু উত্তোলনকালে ২টি নৌকাসহ ৭জনকে আটক করা হয়। অপর কিছু লোক ড্রেজার মিশেন নিয়ে পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন জুয়েল মিয়া, রিপন মিয়া, রতন মিয়া, শামায়াত হোসেন, সবুজ মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, রানা হাওলাদার।
উল্লেখ্য, গত দেড় বছর যাবত আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন, সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, সাবেক চেয়ারম্যান কবির মিয়াসহ স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল।
এলাকাবাসী বার বার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলে এর কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন।
গত কিছুদিন ধরে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদটি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমার নজরে আসলে তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এবিষয়ে প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশে দেন।
হবিগঞ্জ প্রশাসক মনীষ চাকমা জানান, অভিযান চালিয়ে ২টি নৌকাসহ ৭জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যত প্রভাবশালী ব্যক্তি হউক বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।