দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের দ্বন্দ্ব এখন চরম আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন ও তার লেলিয়ে দেয়া বাহিনী দিয়ে সচিবকে মারধর সহ কাজ না করেই জোরপূর্বক তার স্বাক্ষর নিয়ে চেক ছিনিয়ে নিয়ে যান। অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ইউপি সচিব মিন্টু রঞ্জন দাস জন্ম নিবন্ধনের ফি আত্মসাৎসহ দীর্ঘ দিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এ নিয়ে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দু’জনই পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইউপি সচিব মিন্টু রঞ্জন দাস বলেছেন, মঙ্গলবার চেয়ারম্যান আমাকে কাজ না করেই চেকে স্বাক্ষর করার কথা বললে আমি অস্বীকৃতি জানাই। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালান ও মারধর করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজন ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ক্ষতি সাধন এবং জন্ম নিবন্ধন ফি’র প্রায় ২৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে আমার শোর চিৎকার শুনে লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইউপি সচিব মিন্টু রঞ্জন দাস জন্ম নিবন্ধন ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। তার সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারি কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেছেন, দুই জনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।