কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী চাতলাপুর চা বাগানে নিজের বসত ঘরের সামনের একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গাছের সাথে লাশ দেখে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে সাধারন চা শ্রমিকদের ধারণা। শনিবার দিবাগত রাত দুইটায় চাতলাপুর চা বাগানের বেগুন টিলা শ্রমিক বস্তির নিজ বসত বাড়ির একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়।
চাতলাপুর চা বাগান সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত থেকে বেগুন টিলা শ্রমিক বস্তির চা শ্রমিক ধনা হৃধনের মেয়ে কান্তি হৃধন (১৫) বাড়িতে ছিল না। মেয়েকে ঘরে না পেয়ে নিজেদের বসত বাড়ির সামনের একটি চালতা গাছে গায়ের ওড়না নিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ পাওযা যায়। সে শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ছাত্রী কান্তি হৃধনের বাবা ধনা হৃধন বলেন, চালতা গাছের কান্ডের একটু উপরে ওড়না দিয়ে বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে তার দুই হাঁটু ও পা মাটির সাথে লাগানো ছিল। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হয়।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার এস আই সনাক কান্তি দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে সুরতহাল তৈরীর পর লাশ উদ্ধার করে। এসআই সনাক কান্তি দাশ বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্ত ছাড়া আসল তথ্য পাওযা যাবে না।
চাতলাপুর চা বাগান পঞ্চাযেত সভাপতি মাখন বাউরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যেভাবে লাশটি গাছের সাথে ছিল তাকে মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকে। আর এ ঘটনার পর চা বাগানে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।