সম্প্রতি একটি জরিপে বাংলাদেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে জানিয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. কতুব উদ্দিন বলেছেন, মা ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়া আমাদের জন্য বিপদজনক। মৃত্যুর হার কমাতে সরকার অচীরেই তিন হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১শ’ জনের মধ্যে ৮৩ জন মা’ই সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন। এ জন্য আমাদের অসচেতনতা, বিলাসিতা ও অলসতা-ই দায়ি। কোয়ালিটি ডেলিভারি বাড়াতে সরকার এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান দেশের প্রতিটি মা যেন নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদ ভাবে সন্তান জন্ম দেন। বুধবার দুপুরে সিলেট শহরতলীর খাদিমনগর কল্লগ্রামে এফআইভিডিবি উদ্যোগে ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘মিডওয়াইফারি ওপেন স্কুল দে-২০১৭’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
ওই জরিপের রির্পোটে ‘এমআর’র মাধ্যমে মৃত মা’দের সংখ্যা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে দাবি করে কতুব উদ্দিন বলেন, মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। এখন আর নার্সদের অবহেলা করার সুযোগ নেই। সরকার তাদের দ্বিতীয শ্রেণীর মর্যদা দিচ্ছে। কাজে মিডওয়াইফদের ভবিষৎ উজ্জল।
এফআইভিডিবি’র পরিচালক জাহিদ হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং প্রশিক্ষণার্থী তানিয়া আক্তার ও রুহামা বেগমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন প্রশিক্ষণার্থী শাহী আক্তার, গীতা পাঠ করেন স্বপ্না ভোমিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফআইভিডিবি’র মিডওয়াইফারি প্রজেক্ট ম্যানেজার এটিএম জান্নাতুন নাঈম। এফআইভিডিবি’র কো-অর্ডিনেটর শাহ এমডি ইকবাল চৌধুরী, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নজরুল ইসলাম অঞ্জু ও প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ ফয়ছল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি