স্টাফ রিপোর্টার :
জগ্নাথপুরের শ্রীধরপাশার নূর আলীর মৃত্যুর জন্য গ্রামের ফয়সল ও আব্দুল মালিক গংরা দায়ি বলে অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের সারওয়ার কোরেশী। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, ফয়সলকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নূর আলীর স্ত্রী পরিচয়ে জনৈকা লিলু বেগম সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার অপচেষ্টা। তার এই বক্তব্য কাল্পনিক, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি নূর আলী হত্যাকান্ডের মূল নায়ক অবৈধ অস্ত্রধারী ফয়সলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
লিখিত বক্তব্যে সারওয়ার কোরেশী বলেন, তার দাদা উমরা মিয়া কোরেশী ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ৬৫ বছর আগে গ্রামে দারুল উলুম মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রামের একটি কুচক্রিমহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তাদের এই কল্যাণমূলক কর্মকান্ডকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাদরাসার নিলাম শেষে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফয়সল ও আব্দুল মালিক গংরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। উপর্যুপুরি গুলিবর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ সময় উপায়ন্ত না দেখে জাবেদ আলম কোরেশী তখন লাইসেন্সধারী বন্দুক দিয়ে সন্ত্রাসীদের তাড়িয়ে দেয়ার জন্য গুলি করেন। পরে শোনা যায় নূর আলী হাতে চিটা গুলিতে আহত হয়েছেন। নূর আলী একজন মাছ বিক্রেতা নিরীহ মানুষ। সে আমাদের কোনো প্রতিপক্ষ নয়। প্রথমে স্থানীয় এবং পরে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দুদিন পর রিলিজ করে দেয়। ফয়সল নূর আলীকে তার হেফাজতে নিয়ে যায়। দুদিন গোপন স্থানে রেখে নূর আলীকে আবার ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে। গুলিতে আহত হওয়ার ১১ দিনের মাথায় পেটে অপারেশনের জন্য নূর আলীর মৃত্যু হয়। এতে প্রমাণিত হয় এর মৃত্যুর পেছনে ফয়সল দায়ী। কারণ হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর নূর আলীর পেটে কেনো অপারেশন করা হলো এটা রহস্যজনক। তাই ফয়সলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে।