নবীগঞ্জে বিপিএল নিয়ে জুয়ায় মাতোয়ারা যুব সমাজ ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা সচেতন মহলের

44

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বিপিএলের (ক্রিকেট) খেলাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলা জুড়ে জুয়ায় মাতায়োরা হয়ে উঠেছে যুব সমাজ। এ নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক, বনগাঁও, বাউসা ইউনিয়নের বাউসা পয়েন্টে, নবীগঞ্জ পৌর শহর, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের বাজারের দোকান পাটে বিপিএলের চার-ছক্কা আর উইকেট জুয়ায় আসর বসে প্রায় প্রতিদিনিই। এতে করে জুয়ার কবলে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের যুবকরা এর ফলে লাভবান হচ্ছেন দোকান ব্যবসায়ীরা। দোকানপাটের ব্যবসায়ীরা ক্রিকেট জুয়াড়ী যুবকদের কাছ থেকে মোবাইল সেট জামানত রেখে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন সুদ নিচ্ছে ১ শত টাকা। সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে ঘটছে নানা রকম দাঙ্গা হাঙ্গামা। প্রতিটি এলাকার পয়েন্টে চায়ের স্টলসহ দোকানপাটে টিভির পর্দায় দেখানো বিপিএল ক্রিকেট খেলায় প্রতিদিন কয়েক লক্ষাধিক টাকার বাজী ধরছেন জুয়াড়ীরা। দলের উপর থেকে শুরু করে বল, রান, উইকেট এমন কি খেলোয়াড়দের উপরেও চলে জুয়া। দল বুঝে ৫০০ শত টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাজি হয়ে থাকে। টিভির সামনে বসা ক্রিকেট জুয়াড়ীরা অপলক দৃষ্টিতে নিস্তব্ধ হয়ে টিভির দিকে চেয়ে তাকে। বাজিতে হারা জুয়াড়ীদের মুখ থেকে ভেসে আসে ইস উহু শব্দ। জুয়ার আসরে হেরে গেলে জুয়াড়ীদের তখনকার শব্দ শুনলে মনে হবে এখানে কোন বড় ধরনের অপারেশন হচ্ছে রোগী ব্যথায় এমন আওয়াজ করছে এমনটাই জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকগণ। ক্রিকেট জুয়ার পাশা-পাশি এছাড়াও অধিকাংশ স্টলে টিভির পর্দায় অশ্লীল ছবিও দেখানো হচ্ছে। খেলা চলাকালিন সময়ে স্কুলপড়ুয়া ছাত্ররাও বইখাতা নিয়ে সন্ধ্যার পর পড়তে না বসে অনেকেই চায়ের স্টলগুলোতে বিপিএল খেলায় জুয়ায় অংশগ্রহণ করতে এসে ভিড় করে। ভয়াবহ ব্যাপার হলো, ছোট্ট শিশু বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার উদ্দেশ্যে বের হয়ে চায়ের দোকানে বসে সিনেমা দেখে স্কুল ছুটির সময় বাড়ি ফিরে আসছে। এতে করে তাদের অভিভাবকরাও টের পাচ্ছে না। তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজকে ক্রিকেট জুয়ার কবল থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও নজরদারী বাড়ানোর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।