আতিকুর রহমান মাহমুদ, ছাতক থেকে :
ছাতকে বটেরখালের ভয়াবহ ভাঙ্গনে দেবে গেছে একশ মিটার পাকা রাস্তাসহ বিভিন্ন ধরণের গাছ-বৃক্ষ। অব্যাহত ভাঙ্গনের হুমখির মুখে রয়েছেন প্রায় অর্ধশত পরিবারের ঘর-বাড়ি। ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন খালের পারে বসবাসকারি প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন। সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের পূর্বপার্শ্বে সুরমা নদীর শাখা বটেরখালে ভয়াবহ ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে বিলীন গেছে প্রায় অর্ধশত পরিবারের ভিটে-মাটি, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ব্রাহ্মণগাঁও, পূর্বচানপুর ও দিঘলী রামপুর এবং চাকল পারার একমাত্র যোগাযোগের পাকা রাস্তাটিও অবশেষে খালে ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিারা হুমখির মুখে বসবাস করছেন। অন্যান্য অংশটুকু ভাঙ্গনের কবলে পড়ে গেলে তারা পরিবার পরিজনকে নিয়ে কোথায় বসবাস করবেন এ আশঙ্কা দিন-যাপন করছেন। হুমখির মুখে বসবাসকারি বিনয় ভূষণ দে নেপুরসহ উপস্থিত অন্যান্য লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে তাদের একমাত্র প্রায় একশো মিটার পাকা রাস্তাসহ কয়েকটি গাছ-বৃক্ষ হঠাৎ বটের খালে ধেবে যায়। এতে বাকি অংশটুকু ঠিকিয়ে রাখতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, ব্রাহ্মণগাঁও, পূর্বচানপুর ও দিঘলী রামপুর এবং চাকল পারা গ্রামের লোকজনের পূর্ব দিকের একমাত্র পাকা রাস্তাটি খালে ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় অতঙ্কে রয়েছেন। পাকা রাস্তা ধেবে যাওয়ায় পর ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে তাদের ঘর-বাড়ি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে বর্ষার আগেই অমরেন্দু কুমার দে, দূর্গা প্রসাদ দে, উত্তম কুমার দে, ভৈরব লাল দে, মদনমোহন দে, অনিল চন্দ্র দে, মধুসুধন দে, বিরেন্দ্র কুমার দে, বিজয় লাল দে, বিনয় ভূষণ দে নেপুর, ফনি লাল দে, ফটিক লাল দে, প্রদীপ লাল দে, বিজয় লাল দে বাদল, কাজল চন্দ্র দে, নারায়ন চন্দ্র দে, মন মতলাল দে, সাবেক মেম্বার গোলাম হোসেন, সাবেক মেম্বার আমিরুল হক, নাজির হোসেন, জলাল উদ্দিন, শামছু মিয়া, নুরুল হক, আবদুল মতিন, শামছুল ইসলাম, ময়নুল ইসলাম, জয়নুল হক, আবদুল বাকিসহ প্রায় অর্ধশত পরিবারের ঘর-বাড়িসহ বাকি অংশটুকু বিলীন হয়ে যাবে। পূর্বচানপুর, ব্রাহ্মণগাঁও, চাকলপাড়া, রামপুর ও গড়গাঁও হাফিজিয়া মাদরাসা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভাঙ্গনরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।