ন্যাপ ভাসানীকে বাদ দিয়ে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না – এম.এ খান ভাসানী

80

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী)’র কেন্দ্রীয় সভাপতি বঙ্গদ্বীপ এম.এ খান ভাসানী বলেছেন, ক্ষমতায় না গিয়ে মওলানা ভাসানী দেশ ও জাতিকে সুসংগঠিত করে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। মেহনতী গণমানুষের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে রাজপথ থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, ’৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে তরান্বিত করতে পেরেছিলেন।
তিনি শুক্রবার বিকেল ৪টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ন্যাপ ভাসানী সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল আহাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভায় তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীর মধ্যে দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতিকে আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবাসীর উন্নয়নে দলটি অংশিদার হতে চায়। তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের পরিপূরক। এই দু’ নেতা ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত জাতির নেতৃত্বের সমন্বয়ক হিসেবে দেশের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিয়েছিলেন। এই অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। তাদের রুখে দিতে এই দু’ নেতার আদর্শকে আবরো সুসংগঠিত হয়ে কাজ করে যেতে হবে। কারণ তাদের অবদান দেশবাসী ভুলে যেতে পারে না। আর ন্যাপ ভাসানীকে বাদ দিয়ে আগামীতে কেউ ক্ষমতা যেতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারী দেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। আইনের সঠিক শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ন্যাপ ভাসানী’র সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আহমদ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক এডভোকেট আকিক মিয়া, বিভাগীয় আহবায়ক ডা. এম.জি কিবরিয়া, সিলেট জেলা সহ সভাপতি মাওলানা ওলিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক নগরী, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, জাতীয় জনতা পার্টি সিলেট মহানগর শাখার সেক্রেটারী শফিকুর রহমান শফিক, ন্যাপ ভাসানী সিলেট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, সহ সাংগনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল জলিল, জেলা নেতা ইতিয়াজ রহমান ইনু, জালালাবাদ থানা সভাপতি ফারুক আহমদ জালালী, গোয়াইনঘাট থানা সদস্য সচিব মানিকুর রহমান মানিক, গোলাপগঞ্জ থানা সহ সভাপতি জমির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুক্তা আহমদ, সিলেট মহানগর মুক্তিযুদ্ধ সংসদ সন্তান কমান্ডের শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক আবু সাঈদ।
এদিকে আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার বঞ্চিত নির্যাতিত মেহনতি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের মুক্তি সংগ্রামের আপোষহীন যোদ্ধা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন সিলেটের উদ্যেগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্করের পরিচালনায় সভায় বক্তারা মওলানা ভাসানীর সফল কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, লাল মওলানা হিসেবে পরিচিত মওলানা ভাসানীকে নির্যাতীত মানুষ উৎপীড়ন বিরোধী সংগ্রামের মহানায়ক হিসাবে শ্রদ্ধা করে এসেছে।
মজলুম জননেতার ‘খামোশ’ আওয়াজে কেঁপে উঠেছিল জালিমের সিংহাসন। অথচ আজ মওলানা ভাসানীর অবদানের প্রতি রাষ্ট্রীয় ভাবে যথাযথ সম্মান না করে ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্ষমতাকে তুচ্ছ করা এই মহান নেতার পুণ্যস্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁকে স্মরণ করে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশে শোষণ-বঞ্চনা ও জুলুম-পীড়নমুক্ত, সামাজিক ইনসাফ ভিত্তিক সাম্য-মৈত্রী-শান্তির একটি সমাজ গড়তে কেবল মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন এবং বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশফাক আহমদ, ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি একেএম আহাদুস সামাদ, সাম্যবাদী দলের সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড ধীরেন সিংহ, সাবেক মন্ত্রী মরহুম সিরাজুল হোসেন খানের পুত্র জাহিদ হোসেন খান, লেখক বেলাল আহমদ চৌধুরী, বাম রাজনীতিক জমির আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মহি উদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট সংগঠক এডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ,জাতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি আকলিছ আহমদ চৌধুরী,মহানগর বিএনপির সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক কয়েছ আহমদ সাগর,সংগঠক রুশেল রহমার রীজ, মোঃ আব্দুল মালিক, মোঃ শামীম আরীজ,আনোয়ার উদ্দিন বোরহানিবাদী,রেদওয়ান আহমদ হাসান, আমীন তাহমীদ, নাজমুল হোসেন, শাহবান রশীদ চৌধুরী অনি, শামছুল হক, মুহিত আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি