গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের মতবিনিময় ॥ কম খরচে এবং দ্রুত স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এর লক্ষ্য

155

সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক গ্রামীণ জনজীবনে মানুষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের সহজ নিষ্পত্তি ও বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চত করণের লক্ষ্যে সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অফিস আয়োজিত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প “ঈড়হংঁষঃধঃরড়হ রিঃয উরংঃৎরবঃ ঔঁফরপরধৎু ধহফ চড়ষরপব ড়হ ঊভভবপঃরাব ঋঁহপরড়হরহম ড়ভ ঠরষষধমব ঈড়ঁৎঃং” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা শনিবার সকালে অফিস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ রাহাত আনোয়ার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি, ডিবি ড. মোঃ তবারক উল্লাহ, সিলেট রেঞ্জের এসপি নুরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় অফিসের স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি মোঃ জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, ডেলিগেটস অফ দ্যা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের ইকোনিামিক কো-অপারেশন সেকশনের এটাচি এন্ড প্রোগ্রাম ম্যানেজার এডওয়ার্ড পেসেনডরফার, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ইউএনডিপি’র জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক সরদার এম আসাদুজ্জামান।
সিলেট জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার তাসলিমা শারমিনের পরিচালনায় ওয়ার্কিং অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সিলেটের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আবদুল হান্নান, সিলেটের স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবজিৎ সিনহা, ইউএনডিপি’র লিগ্যাল স্পেশালিস্ট শিরিন সুলতানা লিরা, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালা, ব্লাস্ট সিলেট ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সিলেট জেলা ফ্যাসিলিটেটর খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের সহজ নিষ্পত্তি ও বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা চালু হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি’র যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ২৭টি জেলায় ১২৮টি উপজেলার ১০৮০টি ইউনিয়নের ২০১৬-১৯ মেয়াদে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গ্রাম আদালত আইন-২০০৬ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ প্রণয়নের মাধ্যমে এ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা হয়। এই আইনের আওতায় বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্থানীয় ভাবে সহজে কম খরচে দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সভায় বক্তারা বাংলাদেশে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকল স্তরের মানুষের মধ্যে এর সুবিধা তুলে ধরার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি