দোয়ারাবাজার সদরে ৪টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি

19

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
পুলিশের নাকের ডগায় দোয়ারাবাজার সদরে অন্তত ৪টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে খলিল মিয়া (২৪) নামের এক ব্যক্তিকে গাঁজা সহ আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে। রবিবার দিবাগত রাতে একাধিক দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও একই কায়দায় উপজেলা সদরে বিভিন্ন দোকান পাটে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। রবিরার রাতে দোয়ারাবাজার থানা থেকে মাত্র কয়েক শ’ গজ দূরে হাজী হাফিজুর রহমানের সু-ষ্টোর, নেওয়াজ ষ্টোর, মঈনুল হকের দোকানসহ একাধিক মুদির দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা সদরে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে প্রতিনিয়ত চুরি হলেও দীর্ঘ দিন ধরে কোনো প্রতিকার নেই। গত সপ্তাহে একই ভাবে আব্দুন নুরের মুদির দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়। এছাড়া গত কয়েক মাস পূর্বে উপজেলা সদরের ভাই ভাই ষ্টোরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা সহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে যায়। কিন্ত এর কোনো প্রতিকার নেই।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ বারী বলেন, থানার ওসিকে বাজারে পুলিশ টহল দেয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ইদানিং উপজেলা সদরে চুরির উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে থানা থেকে মাত্র কয়েক শ’ গজ দূরের কয়েকটি দোকানে চুরির ঘটনায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড সহ প্রত্যন্ত এলাকায় নানা অপকর্ম ও চুরি ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বর্তমানে উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। আমি বাজার কমিটির সভাপতি ও চেয়ারম্যান হিসেবে চুরি রোধ করতে ইতোমধ্যে সরকারী ল্যাম্প পোষ্ট স্থাপন করেছি। যেহেতু বাজারেই থানা প্রশাসন সেহেতু পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়নি। পুলিশ প্রশাসন টহল ব্যবস্থা না নিলে আমি পাহারাদার নিযুক্ত করবো।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সৈয়দ মিয়া কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সভাপতির বক্তব্যের সঙ্গে এক মত পোষণ করেন।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক বলেন, বাজারে কোনো পাহারাদার নেই। যার কারণে ইদানিং চোরের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার পাহারা দেয়ার দায়িত্ব তো আর পুলিশের নয়। তবে চুরির ঘটনা গুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং বাজার কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলে পাহারাদার নিযুক্ত করার পরামর্শ দেয়া হবে।