বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর মামলায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিত সেই যুবলীগ নেতা ইমরান আহমদ রিয়াদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম মুসলিম আলীর ছেলে। দীর্ঘ ৬মাস ১৯দিন জেলে থাকার পর রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট জেলা কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান। এরআগে ওইদিন দুপুরে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ ড. মুহাম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের আদালতে (ফৌজদারী মোকদ্দমা নং ১১৭৬) মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘক্ষণ শুনানি শেষে ইমরান আহমদ রিয়াদের জামিন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী সুশিল চন্দ্র দাস ও ইমরানের বড়ভাই আইনজীবীর সহকারী আব্দুল হামিদ।
জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল শনিবার সকালে বিশ্বনাথের পাঠাকইন (রামচন্দ্রপুর) গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়ির সামন থেকে ৩০বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিন অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ১১, বিশ্বনাথ জিআর নং ৬৫/১৭ইং)। এঘটনায় লাশের হাত ব্যাগে থাকা ছবির সূত্র ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় থানার পার্শ্ববর্তি আল-মক্কা রেস্টুরেন্টের সামন থেকে যুবলীগ নেতা ইমরানকে গ্রেফতরা করে পুলিশ। গ্রেফতারের দুইদিন পর ২৪ এপ্রিল সোমবার বিকেলে রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এরপর ৩০ এপ্রিল আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে গ্রেফতারকৃত ইমরান বিশ্বনাথ থানা হাজতে অমানবিক পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ ‘মে’ সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ‘কাকন দে’র আদালতে মামলাটির শুনানী শেষে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবীর আহম্মেদ’কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, ২২ মে’র দাখিলকৃত প্রতিবেদন তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হলে আদালতে নারাজি দেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। ২৫ মে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ‘কাকন দে’র আদালতে পুনরায় শুনানী শেষে মামলাটি সিলেটের পুলিশ ব্যুরো ইনবেস্টিকেশন ‘পিবিআই’তে স্থানান্তর করা হয়।