কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী কানাইঘাট চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন কর্তৃক ধর্ষণের স্বীকার এবং স্কুলে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রী নিগৃতের ঘটনা সহ দুর্বল ম্যানেজিং কমিটির পরিবর্তন ও স্কুলের সুনাম ফিরিয়ে আনার জন্য সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে এক মতিবিনিময় সভা সোমবার বিকেল ৩টায় কানাইঘাট মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। গত দু’সপ্তাহ থেকে চরিপাড়া স্কুলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা সহ ছাত্রী ধর্ষণের সাথে জড়িত শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে সাতবাঁক সচেতন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নানা ধরনের কর্মসূচী চলছিল। সমূহ সৃষ্ট ঘটনা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিরসনের লক্ষ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ উদ্যোগ গ্রহণ করলে সকল কর্মসূচী স্থগিত করেন সচেতন নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে নাগরিক কমিটি, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চরিপাড়া স্কুলে ঘটে যাওয়া সমূহ ঘটনা নিরসন এবং স্কুলের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কানাইঘাট রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন আহমদকে আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সচিব ফজলুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির নেতৃবৃন্দ আগামী ২ নভেম্বর নিরপেক্ষভাবে তদন্তের মাধ্যমে যে রিপোর্ট প্রদান করবেন এতে স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং আন্দোলনরত সচেতন নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ মেনে নিবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাতবাঁক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুরব্বী ইফজালুর রহমান, বর্তমান চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ জার উল্লাহ, সচিব ফজলুর রহমান, বেসরকারী শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি এখলাছে এলাহী, রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন রশিদ, সাজ উদ্দিন সাজু, প্রিন্সিপাল আব্দুস সমি, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, নাগরিক কমিটির সভাপতি জলিল আহমদ, সদস্য সচিব ইউপি সদস্য শাব্বির আহমদ সহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাতবাঁক ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।