জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে নৌকা ডুবির ঘটনায় এক নারী নিহত ও ইউপি সদস্য সহ কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলার কাটা নদীর বড় ডহর নামক স্থানে।
জানা গেছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জগন্নাথপুর নৌকা ঘাট থেকে উপজেলার হলিকোনা গ্রামের উদ্দেশ্যে একটি যাত্রীবাহী ইঞ্জিন নৌকা ছেড়ে যায়। নৌকাতে প্রায় ৪০ জন যাত্রী এবং রড, সিমেন্ট, বাঁশ সহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। এতে নৌকাটি অতিরিক্ত বোঝাই হয়। পতিমধ্যে স্থানীয় কাটা নদীর বড় ডহর নামক স্থানে গিয়ে অতিরিক্ত বোঝাই, পানির ঢেউ ও ¯্রােতের কবলে পড়ে নৌকাটি তলিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জেলেরা ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করেন। এতে মিন্নিকা বেগম (৫০) নামের এক হতভাগ্য নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলা চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরণ গ্রামের শরিফ মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ঠাকন মিয়া, আবদুর রহমান, মাসুক মিয়া, ছায়ারা বানু, সুমাইয়া বেগম, লুৎফা বেগম সহ কমপক্ষে আরো ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে ইউপি সদস্য ঠাকন মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর এসআই কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী রেজাউল করিম রিজু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরজমিনে দেখা যায়, ডুবন্ত নৌকাটি স্থানীয় জনতা ও পুলিশ উদ্ধার করেন এবং নিহত হওয়া হতভাগ্য নারীর লাশের পাশে বসে তাঁর দুই অবুঝ কন্যা শিশু আহাজারি করছে। এ নৌকাতে তারাও ছিল। ভাগ্যক্রমে অবুঝ শিশুরা বেঁচে গেলেও তাদের মায়ের মৃত্যু হয়। এ সময় আতরা বলেন, সিমেন্ট, রড, বাঁশ সহ অতিরিক্ত মাল বোঝাইয়ের কারণে নৌকাটি ডুবেছে। তবে ডুবে যাওয়া নৌকার মালিক হচ্ছেন স্থানীয় শালদিঘা গ্রামের তোতা মিয়া বলে আহতরা জানান। আহত ইউপি সদস্য ঠাকন মিয়া বলেন, ভাগ্যক্রমে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।