গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় অভিভাবককে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে এক বখাটে। পাশাপাশি ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে অপ-প্রচার শুরু করেছে। ওই শিক্ষার্থী গোলাপগঞ্জ ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং গোলাপগঞ্জ পৌরসভার টিকরবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের কন্যা। অভিযোগের এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকাদক্ষিণ ইউপির নগর পূর্বপাড়া গ্রামের বাবুল আহমদের ছেলে তোফায়েল আহমদ সাকিব (২৫) দীর্ঘদিন থেকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে কলেজ ছাত্রী সাবিনা বেগম (১৭) কে বিরক্ত করে আসছে। এ নিয়ে গত ৪ অক্টোবর ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে সালিশ বসে। সালিশে বখাটে সাকিব ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে বিরক্ত করবে না বলে জানায়। এরপর থেকে বখাটে সাকিব আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই সাঈদ মুছাকে মোবাইলে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতির হুমকি দিলে ১৮/১০/১৭ ওই ছাত্রীর বড় ভাই সাঈদ আহমদ মুছা গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোলাপগঞ্জ থানার এএসআই কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বখাটে সাকিব এলাকায় তদন্ত করতে যান। এরপর থেকে সে ভুয়া কয়েকটি ফেইসবুক আইডি খুলে অপ-প্রচারও চালাচ্ছে। সালিশের বিষয়টি জানতে ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ঐ ছাত্রীকে বিরক্ত না করতে আমরা পরিষদে সালিশ বসিয়েছি। এলাকায় বখাটে সাকিবের চরিত্র খুবই খারাপ। বিষয়টি জানতে এএসআই কামালের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাইয়ের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বখাটে সাকিবের এলাকায় যাই। ওই বখাটের চরিত্র খুবই খারাপ বলে তার গ্রামের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে। এরপর থেকে সে বাড়ি ছাড়া রয়েছে। তার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন তার চরিত্র খারাপ হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওই ছাত্রীর বড় ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই কামালকে তদন্তের ভার দেয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা পান। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।