দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের গোরেশপুর গ্রামে পূর্ব শত্র“তার জেরে অতি সম্প্রতি নৃশংসভাবে শেরুজ্জামান নামক এক বিএনপি নেতা কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের এক সংঘর্ষে একই ইউনিয়নের বেরি গ্রামের ইয়াজ উল্লাহ নামক নিরীহ এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এক মাসের ব্যবধানে উপজেলা বাজিতপুর গ্রামে মসজিদের জায়গায় মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে বুধবার রক্তক্ষয়ী বড় ধরণের সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষের পুলিশ ৫৩ রাউন্ড শর্টগান গুলি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। পরিস্থি উত্তপ্ত থাকায় বর্তমানে বাজিতপুর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। অপরদিকে এই সংঘর্ষে হতাহতরা হাসাপাতাল বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার রাতে পুলিশ ৬ জন কে আটক করে বৃহষ্পতিবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করেছে। বুধবার রাতে এক পক্ষের দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৫ জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং ১০ তারিখ ২৬/১০/১৭) । রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর পক্ষ মামলা দায়ের করেনি।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, প্রতিপক্ষের বাজিতপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম মালদার, তার পুত্র রাসেল মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজন এলাকার উগ্র ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। তাদের ভয়ে মানুষ সবসময় আতঙ্কে থাকে। শফিকুল ইসলাম মালদার ওই মসজিদের মোতাওয়াল্লী। মামলার বাদীর ছোট বোন মসজিদের মক্তবে পড়তে গেলে তিনি মসজিদ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে এবং সংঘর্ষের দিন বিকালে স্থানীয় শ্যামলবাজারে যাওয়ার পথে তার আত্মীয় স্বজন রাস্তায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আগে থেকে ওতপেতে থেকে তাদের উপর হামলা করে। এ সময় রক্তাক্ত জখমী হয়ে পড়লে খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অস্ত্রধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সাজনা বেগম, আক্তার হোসে, জয় তেরা, আরফাত আলী, আলী হোসেন, জয়নুল, জনিক মিয়া সহ বেশ কয়েকজন মুমূর্ষু অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। অপৃতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।