গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি শিথিলের প্রথম দিনই বাস-মিনিবাসে করোনাকালীন অবশ্য পালনীয় স্বাস্থ্যবিধির লঙ্ঘন ঘটেছে। গত বছর গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর ভাড়া বাড়িয়ে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চালুর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার পর থেকেই। কিন্তু চোরা না মানে ধর্মের কাহিনী।
করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকা করতে গেলে প্রথমেই আসবে গণপরিবহনের বিষয়টি। বৃহস্পতিবার থেকে শর্তসাপেক্ষে সব সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। চালু হয়েছে বাস-মিনবাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন। এমন একটি সময়ে এ সিদ্ধান্ত এলো যখন দেশে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মারা যাচ্ছে দু’শ’র বেশি রোগী। ফলে এমনটাই অনুমিত হওয়া স্বাভাবিক যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্বে প্রবেশ করছে দেশ। এই সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং নিজের সুরক্ষার নিমিত্ত করণীয় কড়াকড়িভাবে পালনের আবশ্যকতা রয়েছে। এখানে বিন্দুমাত্র শিথিলতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাস-মিনিবাসে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেক যাত্রী বহন করা হবে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার স্বার্থে। তার মানে হলো একজন যাত্রীকে অপর যাত্রীর গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে হবে না। দুই আসনের স্থলে একজন এবং তিন আসনের জায়গায় দুজনকে বসানো হলে পাশাপাশি হয়ত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। কিন্তু ঠিক পেছনের সিটে যে যাত্রী বসবেন তার কি এই অত্যাবশ্যকীয় দূরত্ব বজায় থাকবে? এতে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। মাস্ক পরিধানও বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে।
গণপরিবহন চালুর পর যাত্রী-চালক-কন্ডাক্টরদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার বিষয়টিই প্রধান বিবেচ্য। সার্বিক দিক রক্ষা করেই সুশৃঙ্খলভাবে গণপরিবহন চলুক- এটাই প্রত্যাশা। মনে রাখা চাই, বাস-মিনিবাস থেকে একজন যাত্রী বা পরিবহনকর্মীও যদি করোনাক্রান্ত হন, তবে তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তার নিজের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন। তাই সর্বোচ্চ সাবধানতাই কাম্য।