জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হলেও এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের স্বীকৃতি পাননি জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ৫ বারের ইউপি চেয়ারম্যান, জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও জগন্নাথপুর উপজেলা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত হারুনুর রশীদ হিরন।
জানা গেছে, ২০০০ সালে হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার মৃত্যু হলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বীকৃতি দিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ্ব আবদুস সামাদ আজাদ ও আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির উপস্থিতিতে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের স্বীকৃতি পাননি প্রয়াত হারুনুর রশীদ হিরন মিয়া। এর আগে হারুনুর রশীদ হিরন মিয়া জীবিত থাকা কালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাড়িতে এসে ছিলেন। এ সময় হিরন মিয়ার পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন।
যদিও গত কিছু দিন আগে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই কালে মুক্তিযোদ্ধা সহ অন্যান্যদের নাম তালিকা ভূক্ত হলেও হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার নাম অর্ন্তভূক্ত না হওয়ায় হিরন মিয়ার পরিবারে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে প্রয়াত হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার ছেলে হাছিনুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, যাচাই-বাছাই কালে আমার পিতা হারুনুর রশীদ হিরন মিয়ার স্বপক্ষে বিভিন্ন কাগজ পত্র দেখানো হয় এবং অনেক মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিলেও জগন্নাথপুর উপজেলা ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল হকের অসহযোগিতার কারণে তালিকা থেকে আমার পিতার নাম বাদ পড়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল কাইযূম ও ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল কাইয়ূম ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ডেপুটি কমান্ডার আবদুল হক বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে ১৯৭১ সালে দেশে যুদ্ধ চলা কালীন সময়ের কোম্পানী কমান্ডার, সুনামগঞ্জ জেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আমার জানামতে তৎকালীন সময়ে জগন্নাথপুরে অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন প্রয়াত হারুনুর রশীদ হিরন মিয়া, ডাঃ সুধীর চন্দ্র গোপ ও সাবেক এমপি রইছ মিয়া।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, যাচাই-বাছাই কালে যদি প্রকৃত কোন মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের নাম বাদ পড়ে থাকে, তাহলে আগামি তালিকায় তাঁদের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হবে।