বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার পৌরসভায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হচ্ছে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট বা পরিশোধনাগার। একটি প্রকল্পের দুটি ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে এ পানির প্লান্ট স্থাপনের সম্পূর্ণ কাজ। পানির এ পরিশোধনাগার স্থাপন করা হবে পৌরসভার ফতেহপুর এলাকার মাথিউরা টিলায়। তিনটি উৎপাদক নলকুপ থেকে পাওয়ার পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে প্লান্টে পরিশোধন করে সরবরাহ করা হবে। এটি বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জানা যায়, প্রথম ধাপে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি উৎপাদক নলকুপ, দুই কক্ষ বিশিষ্ট তিনটি পাম্প হাউজ, ১৫-২০ হর্স পাওয়ার তিনটি মোটর, তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রথম ধাপের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিলানী ট্রেডার্সকে নিয়োগ করা হয়েছে। দেশের ৪৫টি পৌরসভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস পানি পরিশোধনাগার স্থাপন করছে। তিনটি উৎপাদক নলকূপের প্রথমটি পৌরসভা অফিস প্রাঙ্গণে, দ্বিতীয় কদুগঞ্জ এবং তৃতীয়টি ফতেহপুর মাথিউরা টিলায় স্থাপন করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপের তিনটি উৎপাদক নলকূপের দ্বিতীয় নলকূপ স্থাপন কাজ উদ্বোধন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান। ৭ ফুট গভীর থেকে স্থাপনকৃত এ নলকূপ থেকে পানি উত্তোলন করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারি প্রকৌশলী (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) শাহ মোহাম্মদ লোটন, সহকারি প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, বিয়ানীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন, মিছবাহ উদ্দিন ও রুসনা বেগম, সহকারি প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সিলেটের সহকারি প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, দেশের যেসব এলাকায় পানির সাথে অধিক পরিমান আয়রন রয়েছে- সরকার সেসব পৌর এলাকায় পানি পরিশোধনাগার স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পে ৪৫টি পৌরসভায় পানি পরিশোধনাগার স্থাপন করা হচ্ছে। সেখানে বিয়ানীবাজার পৌরসভা স্থান পেয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এটি সম্পূর্ণ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে পানির প্লান্ট স্থাপন, পাইপ বসানোসহ অন্য কাজ করা হবে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পানি পরিশোধনাগার থেকে পৌরশহরে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে। এতে ১০ কিলোমিটার পাইপ স্থাপন করা হবে। প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ করলেও পানি গুণাগুণ অক্ষুন্ন থাকবে। এ প্রকল্পের কোটি টাকার মধ্যে শুধু পরিশোধনাগার প্লান্ট স্থাপনের ব্যয় হবে ৪ কোটি টাকা।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার নকশা ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রথম পর্যায়ে পৌরশহর ও শহরতলী এলাকায় পানি সরবরাহ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুরো পৌরসভা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের আওতায় আসবে।