নগরীতে কলেজ ছাত্রী ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার

38

স্টাফ রিপোর্টার

পারিবারিক কলহের কারণে সিলেটে এক কলেজ ছাত্রী ও এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নগরীর মদিনা মার্কেট থেকে রবিবার গভীর রাতে কলেজ ছাত্রী ও সোমবার সকালে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া লাশগুলো হচ্ছে, সিলেট নগরীর পনিটুলার বøক-এ এর ৩১/১ নং বাসার গৌরমোহন চন্দের মেয়ে আত্মহত্যাকারী জলি রাণী চন্দ (২১) ও জকিগঞ্জ থানার পিলাকান্দী এলাকার মৃত কোরমান আলীর ছেলে মোঃ কবির মিয়া (৪৫)। নিহত কবির মিয়া বর্তমানে শাহপরাণের চকগ্রামের সোহেল মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় এমসি কলেজের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মদিনা মার্কেটের পনিটুলার বøক-এ এর ৩১/১ নং বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যাকারী জলি রাণী চন্দ বিবাহিত ছিলেন। তার স্বামী প্রবাসী। পারিবারিক কলহের জের ধরে জলি রাণী শোবার কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়ান পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম। তিনি জানান, রবিবার রাত ১২টার দিকে জলি রাণীর পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে তার ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশটি মাটিতে নামান। পরে খবর দিলে রাত ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ওসি আরো বলেন, জলি এমসি কলেজে পড়ালেখা করতেন। প্রায় এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকেন। আত্মহত্যার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন চকগ্রাম থেকে মোঃ কবির মিয়া নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালের দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তি করে আমরা তদন্ত করে দেখবো।
স্থানীয়রা জানান, ভোর রাতে বাসার পাশের পরিত্যক্ত বাউন্ডারির রডের মধ্যে ট্রাউজার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন কবির মিয়া। তার স্ত্রী এক বছর আগে তাকে রেখে বাড়ি চলে যান। ওই সময় থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে প্রায় সময় মাফ করে দেওয়ার জন্য বিদায় নিতেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।