স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মির্জাজাঙ্গাল থেকে নকল স্বর্ণের বারসহ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯’র সদস্যরা। সোমবার বেলা সোয়া ২ টার দিকে নির্ভানা ইন হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ নুর মিয়া (৪০)। সুনামগঞ্জ সদর থানার শ্রীপুর উত্তরপাড়ার মৃত মোস্তফা মিয়ার পুত্র। বর্তমানে টুকেরবাজার সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা। র্যাব-৯’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো: মনিরুজ্জামান প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রতারণার ফাঁদ পেতে প্রতারণা করছে। বিভিন্নভাবে প্রতারক চক্র সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে প্রতারণার শিকারে পরিণত করে। ইদানিং এরূপ ভাবে প্রতারণা করছে একটি চক্র, যারা নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে আসল স্বর্ণের বারের কথা বলে সাধারন মানুষকে ঠকাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি সংঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র সিলেটের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ এবং সরল বিশ^াসের ব্যক্তিদেরকে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে টাকা নিয়ে প্রতারণা করত, তারা আসল স্বর্ণ বলে নকল স্বর্ণের বার বিক্রি করত। স্বর্ণের বার ক্রয়ের পরবর্তীতে প্রতারিত ব্যক্তি বাসায় গিয়ে দেখতে পান তার নিকট স্বর্ণের বারটি সোনালি রং এর পিতলের তৈরি। একটি ব্যাগে বিশেষ কৌশলে মোড়ানো থাকে নকল স্বর্ণের বারগুলো। গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাবের গোয়েন্দা দলের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, এরূপ একটি প্রতারক চক্র সিলেটে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল নগরীর মির্জাজাঙ্গাল রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মির্জাজাঙ্গাল রোডস্থ নির্ভানা ইন হোটেলের সামনে পূর্ব পাশের্^ পাকা রাস্তার উপর থেকে ১টি নকল স্বর্ণের বারসহ প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ নুর মিয়য়াকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে জানা যায় যে, প্রতারক চক্রের ৩/৪ জনের একটি দল থাকে যাদের মধ্যে একজন রিক্সাচালকের ভূমিকায় থাকে এবং নিরীহ ও সাধারন মানুষকে টার্গেট করে যাত্রী হিসেবে নেয়। পরবর্তীতে কিছুদূর গিয়ে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের রিক্সায় উঠিয়ে নেয় এবং সুকৌশলে স্বর্ণের বারটি মাটিতে ফেলে দিয়ে বলে যে, স্বর্ণের বারটি পাওয়া গিয়েছে। এমন অবস্থায় এই যাত্রীদের সাথে এটি বিক্রি করতে দর কষাকষি করে স¦ল্প দামে বিক্রি করে, যা আসলে খুবই কৌশলে করে থাকে। এভাবে তারা আরো বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে থাকে। সাধারণ মানুষ আজ প্রতিনিয়ত এরূপ চক্রের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে-যা কোন ভাবেই কাম্য নয়। উদ্ধারকৃত নকল স্বর্ণের বার এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।