স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি কপোরেশনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নগরীতে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠছে কোরবানীর অবৈধ পশুর হাট। খেলার মাঠ, মসজিদের মাঠ, রাস্তার ওপর কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না মৌসুমি পশু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ার মসজিদের মাঠে এবার সিসিক কোনো পশুর হাটের অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু একটি মহল সেখানে ইতোমধ্যে বাঁশের খুঁটি ও ছাউনি গেড়ে অবৈধ হাট বসিয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী লোক এবার ঈদে এ হাট বাণিজ্যে নেমেছেন। যদিও তারা আড়ালে বসে এসব হাট পরিচালনা করবেন। একইভাবে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে বিভিন্ন দলের কতিপয় নেতা একজোট হয়েই এবার অবৈধ হাট বসাবেন। নগরীর রিকাবিবাজারে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা জোরপূর্বক হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এছাড়া প্রভাবশালী মহলরা বিভিন্ন ওয়ার্ডেও রাস্তায় রাস্তায় ‘গরু-ছাগলের হাট’ বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কয়েদির মাঠ, সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ গ্যাস অফিসের পিছন, শাহজালাল উপশহর, কদমতলী ফল মার্কেটের সামনে, কামালবাজার সড়কের শাহপরান রাইস মিলের সামনের খালি জায়গায় ও শাহী ঈদগাহসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে বসানো হচ্ছে অবৈধ পশুর হাট। ইতিপূর্বে তারা এসব হাট তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
এদিকে নগরীর আম্বরখানায় (গোল্ডেন টাওয়ারের বিপরীত দিকে) বিশাল প্যান্ডেল তৈরি জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুুক্তির অনুসারীরা অবৈধ হাট বসিয়েছে। তবে রাত ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাট বন্ধের নির্দেশ দেয়। এ সময় পুলিশ হাট আয়োজকদের নির্মিত তোরণ থেকে ব্যানার খুলে ফেলার জন্য বলে। তবে অবৈধ এ হাটের আয়োজকরা ঐ সময় হাট বন্ধ না করতে পুুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এমনকি তারা উপস্থিত চিত্র সাংবাদিকরা ছবি তুললে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।