স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বলেছেন, কোরবানীর পশুবাহী গাড়ী কোন চক্র জোরপূর্বক কোন হাটে নিয়ে যেতে পারবেন না। যার যেখানে ইচ্ছা বৈধ যে হাট থাকবে ওই হাটেই পশু নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগীতা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, রাস্তার উপর কোন হাট বসতে দেয়া হবে না। কেউ হাট বসানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ কমিশনার এ জন্য মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে যে কোন সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণেরও নির্দেশ দেন। কোরবানীর সময় চামড়া পাচার প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সচেতন ও সতর্ক থাকার আহবান জানান কমিশনার। তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নাইওরপুলস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের হল রুমে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানীর পশু হাটের মালিক, ইজারাদার, সিলেটের চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মতবিনিময় কালে সিলেটের চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি শাহিন মিয়া বলেন, সিলেটের তামাবিল ও সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ ভারতের এই সীমান্ত এলাকায় কোন ট্যানারী নেই। তবে আগরতলায় ট্যানারী থাকায় আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের একটি আশংকা থাকে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী আরো জোরদার করার আহবান জানান। এ চামড়া ব্যবসায়ী আরো বলেন, তারাসহ অনেক ব্যবসায়ী চামড়া গ্রহণ করে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠে নিয়ে আসেন। কিন্তু গত দু’তিন বছর থেকে একটি চক্র টেবিল-চেয়ার নিয়ে এসে রিসিট কেটে তাদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা আদায় করে থাকে। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
মতবিনিময় সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েদীর মাঠ কোরবানীর পশুর হাট ইজারা না দেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতি আহবান জানান। কারণ হিসেবে বলা হয় এটি আসলে কোন হাট নয়। অযথা এখানে হাট বসিয়ে বাড়তি ঝামেলার সৃষ্টি করা হয়। দু’তিনটি হাট পাশাপাশি বসে যাওয়ার কারণে এ নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস.এম রুকন উদ্দিন, ডিসি হেড কোয়ার্টার রেজাউল করিম, এডিসি (মিডিয়া) জেদান আল মুসা, ডিসি নর্থ ও ডিসি সাউথ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানার ওসি ও এসিগণ, র্যাব-৯, ডিজিএফআই, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
এছাড়াও শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি শাহিন মিয়া, আইয়ুব আলী, নূর উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, ছমির উদ্দিন, কাজিরবাজার গরুর হাটের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলন, লাক্কাতুরা গরুর হাটের ইজাদার রিমাদ আহমদ রুবেল, ট্রাক-লরী, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।