স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর তালতলায় এবার বৃটানিয়া ওমেন্স কলেজের শিক্ষক ও মহানগর শিবিরের প্রথম সারির নেতা আসাদ চৌধুরীকে কুপিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াই টার দিকে মির্জাজাঙ্গালস্থ বৃটানিয়া ওমেন্স কলেজের গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বৃটানিকা উইমেন্স কলেজ, যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। সেই সাথে নেতা বলেও জানা গেছে। মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জান যায়, বৃটানিকা উইমেন্স কলেজের প্রভাষক শিবির নেতা আসাদ কলেজের কাজ শেষ করে প্রায় প্রতিদিন কলেজের সামনে একটি দোকানে আড্ডা দিতেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার ২টা ৫ মিনিটে কলেজ শেষ করে ঐ দোকানে চা খেতে বসেন আসাদ। দুপর আড়াইটার দিকে ৩/৪টি মোটরসাইকেল করে আসাদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আসাদকে ফেলে যায় তারা। এতে আসাদের ২ পা মারাত্মকভাবে জখম হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরবর্তীতে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক বলেন, সে শিক্ষক কি না জানি না। তবে বিভিন্ন সময় সে সরকার ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে তাকে। পেটানো পর ভিডিও করেছি। তাতে সে জীবনে শিবির করবে না বলে অঙ্গিকার করেছে। এই হামলা ছাত্রলীগের শাহিন ও আসিফের উপর হামলার সামান্য প্রতিশোধ বলে তিনি দাবি করেন। আপনারা আইন নিজ হাতে না তুলে পুলিশের আশ্রয় নিলেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে, তিনি বলেন আইন তো পরে। সে সরকার ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাছাড়া শিবিরের মত করে ওরে মারিনি। আমাদের কিছু হলেও মানবতা আছে।
ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান দাবি করছেন, আসাদ চৌধুরী সাবেক শিবির নেতা। নগরীর সোবহানীঘাটে ছাত্রলীগের ২ কর্মীর উপর হামলার জের ধরে তারা এ শিবির নেতার উপর হামলা করেছেন। আসাদ দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অসত্য প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
বৃটানিকা কলেজের অধ্যক্ষ জি কিউ এম আলমগীর বলেন, প্রায় ২ বছর থেকে এই প্রতিষ্ঠানে যুক্তিবিদ্যায় শিক্ষকতা করে আসছেন আসাদ। ঠিক কি কারণে তার উপর হামলা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। হামলার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে আতংক বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে কলেজ থেকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেছেন অধ্যক্ষ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, শুনেছি এক শিক্ষকের উপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু পাইনি। পরে হাসপাতালেও আহত হয়ে কেউ ভর্তি হওয়ার খবর নেই। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ এলে দেখা যাবে।