সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, আমার এলাকার মানুষের স্নেহ ভালোবাসা নিয়ে ১৯৭৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি আজকের এই পর্যায়ে পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। এলাকার প্রাণপ্রিয় বাসিন্দারা আমাকে বারবার ভোট দিয়ে শ্রম দিয়ে স্নেহ মমতা দিয়ে কমিশনার, চেয়ারম্যান আর মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের কাছে আজীবনের জন্য ঋণি। তিনি বলেন, আমি প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধের রীতিতে বিশ্বাসী নই। জনগণের ভালবাসা নিয়েই আমি তিলে তিলে গড়ে উঠেছি। সেকারনে আমি আমার বাড়িতে কোন গেইট নির্মাণ করিনি। প্রিয় নগরবাসীর জন্য আমার বাড়ির দরজা সবসময়ই উন্মুক্ত রয়েছে।
তিনি শুক্রবার রাতে নগরীর কামালগড় এলাকাবাসী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভায় কামালগড় মাছিমপুর ছড়ারপাড় কালিঘাট চালিবন্দর এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। জনতার বিপুল সংখ্যক উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা জনসভায় রূপ নেয়। সভায় কামরান আরো বলেন, নগরীর মানুষের প্রয়োজনে আমি জীবন দিয়ে হলেও কাজ করে যাবো। আবেগ আপ্লুত কন্ঠে কামরান বলেন, দিনে দিনে অনেক সময় পার হয়েছে। আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়ত আমার জীবনের শেষ নির্বাচনও হতে পারে। তাই জনসাধারণের ভালবাসার ঋণ শোধ করতে আগামী দিনগুলোতে আমি তাদের খেদমতে নিয়োজিত হতে চাই। তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে চলার পথে আমার ভুলত্র“টি হতে পারে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে আমি জীবনে কোন মানুষকে কষ্ট দেই নাই। অত্র এলাকার যেসব মা বোন ভাইয়েরা আজ পৃথিবীতে নেই তাদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের অনুপ্রেরণা আদর শাসন পেয়েই আমি জীবনে চলার পথে এগিয়ে গেছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সভায় জাকারিয়া আহমদের পরিচালনায় ও কামালগড় জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী মো. দিলার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছড়ারপার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. সুনা মিয়া, ছড়ারপার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ক্রীড়া সংগঠক সিরাজুল ইসলাম শামীম, দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদক আবুল মোহাম্মদ, কামালগড় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মো. বাবলা মিয়া, আব্দুল আজিম জুনেল, মফিজুর রহমান, এম এ মতিন, হাবিবুর রহমান মজনু, কালাম আহমদ, বিলাল আহমদ, নুরুল ইসলাম, আতিকুর রহমান আতিক, মামুন খান জনি প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি