সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবার পশুর হাট ইজারা দেবে না

121

স্টাফ রিপোর্টার :
ঈদুল আজহা এলেই নগরীর পথে পথে বসে কোরবানীর পশুর হাট। ইজারা ছাড়াও নগরীজুড়ে হাট বসানোর হিড়িক পড়ে। দলমত নির্বিশেষে নেতাকর্মীরাও বনে যান গরু ব্যবসায়ী। ঈদের আগের রাতে পুরো নগরীই হয়ে উঠে পশুর হাট।
নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে ব্যবসায়ীরা হয়ে পড়েন অনিরাপদ। বাজারে গরু তুলতে ব্যবসায়ীদের আমদানি করা গরুর রশি নিয়ে শুরু হয় টানাটানি, মারামারি। রাস্তায় ট্রাক আটকে গরু ছিনতাই শুরু হয়। গত বছর ২২ লাখ টাকায় পশুর হাট ইজারা দিলেও লিজ গ্রহীতাকে বাজারের দখল বুঝিয়ে দিতে পারেনি সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে অনেকটাই বেকায়দায় পড়তে হয় নগর কর্তৃপক্ষকে। ফলে এবার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন পশুর হাট ইজারা দেয়া হবে না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
নগরীতে পশুর হাট ইজারা দেয়া নিয়ে গতকাল বুধবার মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নগরের আইন হলো কোন রাস্তায় হাট বাজার বসতে পারবে না। আমরা সেই নিয়মের বাইরে যেতে চাচ্ছি না। নিয়ম ভেঙে আমরাই যদি ইজারা দেই তাহলে অন্যরাও রাস্তায় কোরবানীর পশুর হাট বসানোর সুযোগ পাবে। ইজারাকৃত হাট নিয়ে হট্টগোল হবে। তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের একমাত্র বৈধ পশুর হাট ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট।
নগরীর কয়েদীর হাট এবার ইজারা দেয়ার বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গত ঈদুল আজহায় সরকারের হেফাজতে ছিলাম। তখন হাটটি ইজারা দেয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এবার আমরা সেই ঝামেলায় যেতে চাচ্ছি না। বৈধ পশুর হাট কাজিরবাজার ছাড়া আর কোন হাট বসতে দেয়া হবে না।
গত বছর নগরীর কুমারপাড়া, শাহী ঈদগাহ উপজেলা মাঠ, আখালিয়া বিজিবি মাঠ, মাছিমপুর, মেডিকেল রোড, নগরীর কদমতলী, রিকাবীবাজার, খরাদিপাড়া আনন্দ মাঠ, টিলাগড় পয়েন্ট, বালুচর খেলার মাঠ, চালিবন্দরে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মুখ, লাক্কাতুরা, মেন্দিবাগ পয়েন্টসহ নগরীর অর্ধশতাধিক স্থানে পশুর হাট বসানো হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, এসব হাট বসানোর নেপথ্যে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলসহ অন্য দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন থেকে হাট ইজারা দিলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ইজারাকৃত স্থানে আগেই বাজার বসিয়ে দেন।