গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এক কলেজ শিক্ষকের কটুক্তির প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগ নিন্দা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গত ১৫ আগষ্ট গোলাপগঞ্জে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করেন ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক এরশাদ আলী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কলেজের সিনিয়র শিক্ষক এরশাদ আলী। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির বিষয় জানাজানি হলে গভর্ণিং বডির সদস্য, শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তির ব্যাপারে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু তাহের নাহিন নিন্দা জানিয়ে বলেন কটুক্তিকারী শিক্ষককের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে শাস্তির দাবী করেন। এদিকে গোলাপগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কলেজ শিক্ষকের কটুক্তি ও অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান নাহিদ এর সভাপতিত্বে জুহেল আহমদ এর পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তিকারী কলেজ শিক্ষক এরশাদ আলী কে অভিলম্বে কলেজ থেকে পদত্যাগ ও শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্মসাধারন সম্পাদক ও কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক এজিএস মনসুর আহমদ, যুবলীগ নেতা সাঈদ আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফয়জুল হক, নুরুল হক হেলু প্রমুখ। প্রতিবাদ মিছিল ও সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াছ আহমদ, উপজেলা যুবলীগ নেতা তারন আহমদ, ফয়ছল আহমদ, জাবেদ আহমদ, সাহেদ আহমদ, সূফিয়ান আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজন আহমদ, আবুল হোসেন, নূরুল আলম, কমল কান্তি শর্মা, মনোয়ার আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, আমান পাপ্পু, কলেজ ছাত্রলীগ নেতাঃ নয়ন মালাকার অপু, এমাদ আহমদ, নাসিম জামান, আব্দুস শহিদ, তানভীর আহমদ, মারুফ মো. শাফি, জোবায়ের মাহমুদ, ইভানুল ইসলাম মিজু, শরিফ আহমদ, সায়েল আহমদ, এস এম নাহিদ হোসেন, এমদাদুল ইসলাম আকাশ, রাজু আহমদ, হাসান আহমদ, রুবেল আহমদ, শিমুল আহমদ, রাহেল আহমদ, রিমন আহমদ, বিরাট আহমদ, জাকারিয়া আহমদ, সফু আহমদ, তুজার আহমদ, ইফরাত আহমদ, সালাম আহমদ, আলমগীর, শামিম, ফাহিম, বাপ্পি, রূমেল, পার্থ, সেজান, দিপু মালাকার প্রমুখ। অপরদিকে কটুক্তিকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পালকে তদন্তকারী কর্মকর্তা দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন জানান।