জঙ্গি তৎপরতা ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে অর্থায়ন ॥ হবিগঞ্জে গ্রেফতার মোস্তাকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

29

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জঙ্গি তৎপরতা ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে অর্থায়নের অভিযোগে আটক মোস্তাক আহমেদ খাঁ এর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে অর্গানাইজড ক্রাইম স্পেশাল ট্রাস্ক গ্র“প সিআইডি। মঙ্গলবার হবিগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোলায়মানের আদালতে তাকে সোপর্দ করে এ আবেদন জানানো হয়। সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে অর্গানাইজড ক্রাইম স্পেশাল ট্রাস্ক গ্র“পের সদস্যরা। এ ব্যাপারে অর্গানাইজড ক্রাইম স্পেশাল ট্রাস্ক গ্র“প সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সফি আহমেদ বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত মোাস্তাক আহমদ খাঁ (৩৫) বানিয়াচং উপজেলার তকবাজখানী মহল্লার মনোয়ার আহমেদ খাঁর ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্রেফতারকৃত মোস্তাক ১০/১১ বছর পূর্বে অবৈধভাবে তুরস্ক যান। সেখানে ৫/৬ বছর অবস্থান করেন। তখন তিনি জঙ্গি সংগঠন ও ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। দেশে ফেরার পর তিনি জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। ইসলামী ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখায় তার নামিয় হিসাবে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ৯২ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা হয় এবং ৯২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা উত্তোলন হয়। ওই হিসাবে গত ২ বছরে ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিদেশী রেমিটেন্স জমা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল অংকের টাকা জমা হয়। মোস্তাকের মালিকানাধীন এমকে এন্টারপ্রাইজের নামে একই ব্যাংক শাখায় অপর একটি হিসাবে ১১ জুন ২০১৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা এবং ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন হয়। উক্ত অর্থের সঠিক উৎস ও ব্যয়ের সঠিক কোন তথ্য কেউ দিতে পারেনি। ওই হিসাবগুলো থেকে ৫টি একাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ব্র্যাক ব্যাংক বানিয়াচং শাখায় মোস্তাকের সহযোগি কাউছার মিয়া ও তার শাশুড়ি হামিদা খাতুনের নামিয় সঞ্চয়ী হিসাবে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ সহায়তা করছেন। এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনসহ মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ সংশোধীত ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ডা প্রার্থনা করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রিমান্ড আবেদনের শুনানী হয়নি।