স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা কুশিঘাটে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে ৩ ছাত্রলীগ নেতা আহতের ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে। এতে যুবলীগ নেতা জাকিরুল আলম জাকিরকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাকির গত নির্বাচনে কুচাই ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে মোগলাবার থানায় এ এজাহার দাখিল করেন বলে জানান মামলার বাদী আব্দুল আহাদ। আহাদ নিজেও যুবলীগ নেতা ও আহত দুই ছাত্রলীগ নেতার চাচা।
দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের সময় বোমা হামলায় নিহত ফাহিম স্মরণে গঠিত জান্নাতুল ফাহিম স্মৃতি সংসদের একটি অনুষ্ঠানে কথাকাটাকাটির জেরে যুবলীগের একটি অংশ গুলি ছোঁড়ে। এতে জাকির আহমদ খোকা ও জামিল আহমদসহ ৩ ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। জাকির ও জামিল পরস্পরের সহোদর। গুরুতর আহত জামিলকে গত শুক্রবার রাতেই ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আর জাকির সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মামলা দায়ের প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার বিকেলে আব্দুল আহাদ বলেন, একটু আগে থানায় এজাহার দাখিল করে এসেছি। সন্ধ্যায় মামলা নথিভূক্ত হবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
এজাহারে জাকিরুল আলম জাকির ছাড়াও ১৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সেবুল আহমদ সাগর, সৈয়দ নাহিদুর রহমান সাব্বির, আব্দুর রহমান সুমেল, জুয়েল আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গতকাল বিকেলে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের চাচা বাদী হয়ে মামলা করছেন।
শুক্রবার রাতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা জাকিরুল আলমের নেতৃত্বে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির বলেন, আমি সমাবেশের মাঝপথে চলে আসি। আমি আসার পর দুইপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কারা গুলি করেছে তা জানি না।
শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমার কুশিঘাটে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, নগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জঙ্গি হামলায় নিহত ফাহিম স্মরণে ঘটিত জান্নাতুল ফাহিম স্মৃতি সংসদ এর কমিটির অভিষেক ও কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল শুক্রবার রাতে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সংগঠনটির সভাপতি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা গুলজার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের মাঝপথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দর্শকসারিতে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ। এর একটি পরেই গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে।